স্বপ্নের লাদাখ যাত্রা - এক ঢিলে সিমলা-মানালি-কাশ্মীর সহ ঘুরে আসুন কম খরচে

যদি এডভেঞ্চার বা ট্রাভেল প্রিয় কাউকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের কোথায় আপনি একবারের জন্য হলেও যেতে চান? নিঃসন্দেহে সবার উত্তর হবে, “লেহ-লাদাখ”। আগের নোটগুলোতে আমরা বলেছি বাই রোডে এবং কম খরচে ঢাকা থেকে কাশ্মীর, দিল্লী, সিমলা এবং মানালি ভ্রমণের গল্প। আজ আমাদের এক্সট্রিম ডেসটিনেশন স্বপ্নের লাদাখ। আসুন শুরু করা যাক।   ঢাকা থেকে ৫০০-৫৫০ টাকায় যশোহর হয়ে বেনাপোল পৌঁছে ইমিগ্রেশন শেষ করুন উভয় দিকের। তারপর হরিদাসপুর হতে শেয়ার গাড়ীতে ১৫/২০ টাকায় বনগাঁ ষ্টেশন এবং সেখান থেকে নামমাত্র ভাড়ায় হাওড়া চলে আসুন। আগে থেকে টিকেট করা না থাকলে আপনাকে আসতে হবে শিয়ালদহ ষ্টেশন। ষ্টেশনের বিপরীত দিকের একটু খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন ফেয়ারলি প্লেস, সেখান থেকে ফরেন কোটায় টিকেট করে নিন হাওড়া-কলকা মেইলের। কলকাতা থেকে কলকা যাওয়ার ট্রেনটি হল কলকা মেইল (ট্রেন নাম্বার ১২৩১১), হাওরা থেকে রাত ০৭:৪০ এ ছেড়ে গিয়ে তৃতীয় দিন সকাল ০৪:৩০ নাগাদ কলকা পৌঁছে। স্লিপার ক্লাস ৬৮০ রুপী, এসি থ্রি-টায়ার ১৮৫০ রুপী, এসি টু-টায়ার ২৭০০ রুপী এবং এসি ফার্স্টক্লাস ৪৮০০ রুপী (প্রায়)। কলকা পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিয়ে টয় ট্রেনের টিকেট করুন, ভাল হয় আগে থেকে করে রাখতে পারলে। কলকা থেকে মোট পাঁচটি টয়ট্রেন ছেড়ে যায় সিমলা’র উদ্দেশ্যে।

এগুলো হলঃ   

  • Kalka Shimla NG Passengers (Train No. 52457) Dep: 04:00 Arrv: 09:20
  • Kalka Shimla Rail Motor (Tran No. 72451) Dep: 05:10 Arrv: 09:50
  • Shivalik Delux Express (Train No. 52451) Dep: 05:30 Arrv: 10:15
  • Kalka Shimla NG Express (Train No. 52453) Dep: 06:00 Arrv: 11:05
  • Himalyan Queen (Train No. 52455) Dep: 12:10 Arrv: 17:20    

ভাড়া অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেনী ১০০ রুপী’র মধ্যে আর প্রথম শ্রেনী ২৫০-৩৫০ রুপী’র মধ্যে। উল্লেখ্য যে, টয় ট্রেন যা ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে সিমলাকে, কালকা শহরটির সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছে এবং শহরটিতে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে অন্যতম জনপ্রিয় রাস্তা তবে এটি খুবই ধীর। তবে, পারিপার্শ্বিক দৃশ্য পরিদর্শনের জন্য যে কারোও কাছে এই 96 কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকটি খুবই সুন্দর। রাস্তা বরাবর, ভ্রমণার্থীরা চারপাশের অঞ্চলের এক অত্যাশ্চর্য দৃ্শ্য পরিদর্শন করতে পায়। রেলটি 103-টি সুড়ঙ্গপথ ও 806-টি সেতুর মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে। 

সিমলা পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিন, ঘুরে দেখুন মল, স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট, রিজ এরিয়া, জাখু হিল, চার্চ ইত্যাদি। সিমলা থেকে হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন এর মোট তিনটি গাড়ী ছেড়ে যায় মানালির উদ্দেশ্যে। প্রথমতই সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, ভাড়া ৩৮০ রুপীর মত। এছাড়া রাত সন্ধ্যা সাতটা এবং রাত পৌনে দশটার দিকে আরও দুটি বাস ছেড়ে যায় যার ভাড়া ৪০০ রুপীর মত। এছাড়া হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এর একটি বাস ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে আটটার দিকে, ভাড়া ৫৫০ রুপী। আপনি যদি সিমলায় রাত কাটাতে না চান তাহলে রাতের যে কোন গাড়ীতে রওনা হয়ে যান মানালির উদ্দেশ্যে। অন্যথায় সিমলায় বাজেটের মধ্যে একটা হোটেলে উঠে চমৎকার একটা ঘুম দিয়ে বিশ্রাম নিন, সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রওনা দিন মানালির উদ্দেশ্যে। এতে লাভ হবে দিনের আলোয় সিমলা থেকে মানালি যাওয়ার রাস্তার রুপসুধা পান করার সুযোগ হবে।    আপনি যদি রাতের গাড়ীতে সিমলা থেকে মানালি রওনা দেন তবে আপনি যখন মানালি পৌঁছবেন, তখন হয় লেহ এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে গেছে, অথবা যাবে বলে। সারা রাতের জার্নির পর আবার লম্বা একটা পাহাড়ি যাত্রা, তাও সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এত উঁচুতে, কোন মতেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। শরীরকে খাপ খাওয়ানোর জন্য একটা রাত মানালিতে থাকুন। মানালির আশেপাশে ঘুরে বেড়ান, হাদিম্বা দেবী মন্দির, মল এরিয়া, তিব্বতীয় মনস্ট্রি সহ বেশ কিছু জায়গা দেখার মত আছে। আর যারা সকাল বেলা সিমলা থেকে মানালি রওনা হয়েছেন, তাদের তো একটা রাত এমনিতেও মানালিতে থাকতেই হবে।   

এবার পরদিন, মানালি থেকে লেহ যাত্রা করার পালা। মানালি থেকে সকাল নয়টায় লেহ এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়, ভাড়া পড়বে ২,৫০০ রুপী (২০১৬’র আপডেট ভাড়া এটা)। এই ভাড়ায় আপনি পাবেন মানালি থেকে লেহ পরিবহনের সাথে মাঝে এক রাতের হোটেলে থাকা এবং প্রথম দিন রাতের খাবার সহ পরের দিনের সকালের নাস্তা। প্রথম দিন বাস মানালি থেকে রওনা হয়ে কেলং এসে যাত্রা বিরতি করবে এবং এখানেই রাত্রি যাপন।  

তো মানালি থেকে যাত্রার পরের দিন সন্ধ্যে বেলা আপনি পৌঁছে যাবেন স্বপ্নের শহর লেহ। এখানে এসে হোটেল খুঁজে পেতে একটু বেগ পেতে হবে, আরেকটা কথা, লেহ ভ্রমণের জন্য বিশেষ অনুমতি লাগবে বাংলাদেশ সহ আরও কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য। তাই রওনা হওয়ার আগেই, অনলাইনে কোন এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে অনুমতি সহ হোটেল বুক করে রাখতে হবে। নইলে ঝামেলায় পড়তে হবে। আর আপনি যদি বাজেট ট্রাভেলার না হয়ে মন ভরে উপভোগ করতে চান পুরো যাত্রা পথ, তাহলে দিল্লী বা মানালি হতে জীপ সাফারি রিজার্ভ করুন, কমপক্ষে ৫/৬ জনের দল বানিয়ে। সেইরকম একটা যাত্রা হবে, যখন যেখানে ইচ্ছে গাড়ী থামিয়ে ঘুরে দেখতে পারবেন।    

যাই হোক, লেহতে রাতে থেকে প্রথম দিন লেহ শহর এবং এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করুন। এদিন সকালে নাস্তা করে ঘুরে আসতে পারেন আলচি মনস্ট্রি থেকে। লেহ থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরত্বে প্রায় ১২০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা এই এলাকা লেহ বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম দ্রষ্টব্য। এই যাত্রায় সময় লাগবে ঘণ্টা দুয়েক আর খরচ ১০০-১৫০ রুপী। যাত্রা পথে দেখতে পারবেন ইন্দুস এবং ঝান্সকার নদীর মিলনস্থল, নিমু। ফেরার সময় দেখুন মিলিটারির “হল অব ফেম”। এরপর হোটেলে রাত্রি যাপন। উল্লেখ্য এদিন এসেই নুব্রা ভ্যালী বা পেংগঙ্গ লেক যাওয়ার প্ল্যান করবেন না। উচ্চতার সাথে শরীরকে খাপ খাইয়ে নেয়া অতীব জরুরী।    

পরের দিন যাত্রা করুন নুব্রা ভ্যালী’র উদ্দেশ্যে। লেহ থেকে দেসকিত তথা নুব্রা ভ্যালীর উদ্দেশ্যে প্রতি মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার আর শনিবার বাস ছেড়ে যায় সকাল ছয়টায়; আর ঠিক তার পরের দিনগুলোতে সকাল সাতটায় ফিরতি যাত্রা করে। প্রায় ২০০ রুপী। লেহ হতে সুমুর এবং পানামিক এর উদ্দেশ্যেও বাস ছেড়ে যায় প্রতি মঙ্গলবার, ভাড়া যথাক্রমে ২৬০ এবং ২৯০ রুপীর মত। নুব্রা ভালী যেতে হবে আপনাকে ১৮৩৬০ ফুট উচ্চতার খাংডুরলা পাস হয়ে যা একদা বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরেবল রোড বলে বিবেচিত হত। চমৎকার নুব্রা ভ্যালী আপনাকে নিঃসন্দেহে বিমোহিত করবে। ১২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। বিকেল বেলা ঘুরে দেখুন হুন্দার এবং দিসকিত মনস্ট্রি। চাইলে সাদা বালুর মরুভুমিতে ক্যামেল সাফারি উপভোগ করতে পারেন। দুই কুজ বিশিষ্ট এই ক্যামেল তথা উট একমাত্র নুব্রা ভ্যালীতেই দেখা যায়। রাতের আবাস হতে পারে ক্যাম্প স্টাইলের নানান আবাসন সাইটগুলো।    

পরের দিন সকালে রওনা হয়ে যান ফের লেহ এর উদ্দেশ্যে। গাড়ীর ভাড়া আগেই বলে দিয়েছি। দুপুর নাগাদ লেহ পৌঁছে, হোটেলে চেকইন করে ফ্রেশ হয়ে নিন, লাঞ্ছ শেষে চাইলে রেস্ট নিন। অথবা ঘুরে দেখুন স্থানীয় মার্কেট, যেখানে পাবেন পশমিনা শাল, নানান চাইনিজ এবং তিব্বতীয় হ্যান্ডিক্রাফটস, পাবেন লাদাখি কাঠের নানান সুভেনিয়র।    

এবার স্বপ্নের শেষসীমায় যাত্রা, ভারত এবং চীন সীমান্তবর্তী বিখ্যাত প্যাংগঙ্গ লেক। চ্যাং লা পাস দিয়ে লেহ থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরের এই লেকে পৌঁছতে সময় লেগে যাবে ০৪-০৫ ঘণ্টার মত। লেহ থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রতি শনিবার আর রবিবার বাস ছেড়ে যায় প্যাংগঙ্গ এর উদ্দেশ্যে, ভাড়া ২৬০ রুপীর মত। বাসগুলো ফিরে আসে পরেরদিন। তাই একদিনের বেশী থাকার প্ল্যান করলে একটু সাবধানে প্ল্যান করবেন। শনিবার গিয়ে সোমবার ফিরে আসতে পারেন, তাহলে দুই রাত থাকা যাবে সেখানে। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৪,৪০০ মিটার উচুর এই স্বচ্ছ নীল পানির হ্রদের এক তৃতীয়াংশ ভারতের, বাকীটুকু চীনের সীমানায় পড়েছে। থ্রি ইডিয়ট ছবির কল্যানে এই হৃদের কিছুটা রূপ সবাই কমবেশি দেখেছি আমরা।  বিকেল বেলা এখানকার স্থানীয় গ্রামগুলো ঘুরে দেখুন, চাইলে থ্রি ইডিয়ট মুভির সেই বিখ্যাত স্কুলটি টিকেট কেটে ঘুরে দেখতে পারেন। শেষ বিকেলে এই হ্রদের পাশে বসে থাকাটা হতে পারে আপনার জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত।    

পরদিন ফিরতি যাত্রা লেহ এর দিকে। একই ভাড়ায়, একই গাড়ীতে। সকালের প্যাংগঙ্গ লেক আর এর রূপ, আরকেটি অপার সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। খুব ভোরে উঠে এই রূপসুধা পান শেষে নাস্তার ঝামেলা চুকিয়ে রওনা হন লেহ এর উদ্দেশ্যে। পথে পড়বে হেমিস মনস্ট্রি। দুপুরের মধ্যে লেহ ফিরে এসে বিকেলের অবসর সময় কাটান নিজের ইচ্ছে মতন। লেহ থেকে শ্রীনগর এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় দুপুর দুটার দিকে, ভাড়া ৭০০-৮০০ রুপী। সারারাত ভ্রমণ শেষে সকাল বেলা শ্রীনগর পৌঁছে। যেহেতু এদিন বাস ধরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তাই একদিন বেশী আপনাকে লেহ থাকতেই হচ্ছে।  সকাল বেলা চাইলে লেহ এর আশেপাশে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারেন, পারেন কিছু শপিং বাকী থাকলে তা শেষ করতে। এবার দুপুরের বাসে রওনা হয়ে যান শ্রীনগর। 

পরদিন সকালে শ্রীনগর পৌছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ঘুরে বেড়ান মুঘল গার্ডেনগুলোতে। এরপর দুপুরের দিকে বাজেটের মধ্যে কোন একটা হাউজবোটে উঠে পড়ুন একদিনের জন্য, অবশ্যই গার্ডেন এলাকার পাশে। বিকেলে শিকারা রাইড করুন। চাইলে বিখ্যাত “মুঘল দরবার” রেস্টুরেন্টের বিখ্যাত ওয়াজওয়ান চেখে দেখতে পারেন, যদিও একটু এক্সপেন্সিভ।  

পরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ধরুন জম্মুর বাস। শ্রীনগর থেকে প্রতিদিন সকালবেলা বাস ছেড়ে যায় জম্মুর উদ্দেশ্যে, ভাড়া ২৫০ রুপী থেকে শুরু। সময় লাগে ১১-১২ ঘণ্টার মত। সন্ধ্যের পরে জম্মু পৌঁছে চলে আসুন রেল ষ্টেশন। এখান থেকে জম্মু তাওয়াই ট্রেন ধরে রওনা হন কলকাতা উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে, একটু দেরী হলেই ট্রেন মিস করতে পারেন। তাই একরাত চাইলে থেকে যেতে পারেন জম্মুতে, এতে করে জম্মু দেখা হয়ে যাবে। 

সন্ধ্যে সাতটায় জম্মু থেকে কলকাতা উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রতিদিন একটি ট্রেন, কলকাতা পোঁছে একদিন পরে প্রায় ৪৫ ঘণ্টার যাত্রা শেষে বেলা চারটা নাগাদ।    কলকাতা পোঁছে সেদিন আর বর্ডার গিয়ে বর্ডার পার হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই নিউমার্কেট এলাকায় বাজেটের মধ্যে একটা হোটেলে উঠে পড়ুন রাত কাটানোর জন্য। সকালবেলা নিজের পছন্দমত পথে ফিরে আসুন বাংলাদেশ।    

যাতায়াতঃ

  • ট্রেনের টিকেট এর জন্য ঢুঁ মারুন এই লিংকেঃ https://www.irctc.co.in/nget/train-search
  • বাসের টিকেট এর জন্য ঢুঁ মারুন এই লিংকেঃhttps://online.hrtchp.com/
  • মানালি-লেহ-মানালি রুট ওপেন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য চোখ রাখুন এই লিংকেঃ https://www.hrtchp.com/hrtc_info/

আবাসনঃ 

নিজের পছন্দ এবং বাজেটের মধ্যে রুম পেতে ঢুঁ মারুনঃ 

  • https://www.agoda.com/country/india.html?
  • https://www.booking.com/country/in.en.html?
  • https://www.makemytrip.com/https://www.oyorooms.com/
  • https://www.treebo.com/
  • https://www.yatra.com/hotels
  • https://www.airbnb.co.in/india/stays
খরচঃ আলাদাভাবে খরচের হিসেব দেয়া হলো না কারণ এখানে অনেকগুলো Variable Factor কাজ করবে পুরো ট্যুরের ট্রান্সপোর্ট, খাবার, আবাসন এগুলোতে। আর বর্তমানে লাদাখ এর লেহ ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় বাংলাদেশীদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এই ট্রিপটি সঠিক পরিকল্পনায় সর্বনিম্ন বাজেটে সম্পন্ন করতে গেলেও ৩২,০০০-৩৫,০০০ টাকার মত লাগবে।

মন্তব্যসমূহ

Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ