ইতিহাসের পাতায়, নারায়ণগঞ্জের পথে (একটি দিনব্যাপী ভ্রমণ প্যাচাল)

প্রাণপ্রিয় ঢাকা শহরের অন্যতম প্রতিবেশী নারায়ণগঞ্জ, সময়ে সময়ে নানান অপ্রিয় প্রসঙ্গে উঠে আসে আলোচনায়। কিন্তু ঐতিহাসিক তুল্যমূল্য বিচারে নারায়ণগঞ্জ অন্য এক উচ্চতায় আসীন। ষোড়শ শতকে ঢাকা এবং এর আশেপাশে যে মোঘল আধিপত্য বিরাজমান ছিল তার বিস্তৃতি কিন্তু মুন্সিগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ছিল। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে "ভ্রমণ বাংলাদেশ" এর কয়েকজন ভ্রমণ বন্ধু মিলে যাই নারায়ণগঞ্জের হেথায় সেথায় ভ্রমণে। গত ২০১৩ সালে গিয়েছিলাম আমি একা, এরপর এইবার দল বেঁধে। এবারের এই ভ্রমণ স্থানগুলো নিয়ে আজকের এই ভ্রমণ কাহিনী। 

মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িঃ সকাল নয়টায় আমরা গুলিস্থান হকি স্টেডিয়ামের কাছ হতে রওনা হই মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রথমে রূপগঞ্জগামী বাসে করে যাত্রা করে আমরা নেমে পড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপসী বাসস্ট্যান্ড। এখানে একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন, মোগড়াপাড়া’র বাসে করে যেতে হয় সোনারগাঁও, পানাম নগরী। আর এই জমিদার বাড়ি যে জায়গায় সেই জায়গার নাম মুড়াপাড়া। অনেকেই এই দুটি নাম নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন, তাই বলা। রূপসা নেমে সেখান থেকে রিকশাযোগে মুড়াপাড়া। আরও অনেক জমিদার বাড়ির মত মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে “মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ” এর শিক্ষাভবন হিসেবে। 


১৮৮৯ সালে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন রামরতন ব্যানার্জি। তিনি ছিলেন নাটোরের রাজার এক বিশ্বস্ত কর্মচারী। তার সততার পুরস্কার হিসেবে তিনি মুড়াপাড়া এলাকায় বেশকিছু জায়গির সম্পত্তি লাভ করেন। পরে ১৯০৯ সালে জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি এ বাড়ির কাজ সুসম্পন্ন করেন। তিনি এ এলাকার ক্ষমতাধর জমিদার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জগদীশ ব্যানার্জি এ দেশ ছেড়ে কলকাতায় চলে যান এবং বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। 


১৯৬৬ সালে এটি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং বর্তমানে এটি মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। জমিদার বাড়ির মূল ভবনটিই কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জমিদার বাড়ি তথা কলেজ প্রাঙ্গনে ঘণ্টা দুয়েক কাটিয়ে আমরা রওনা হই সোনাকান্দা দুর্গের উদ্দেশ্যে। 

অবস্থানঃ মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িটি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় অবস্থিত। 



হাজীগঞ্জ দুর্গঃ দুপুর একটা নাগাদ আমরা পৌঁছই হাজীগঞ্জ দুর্গে। শুক্রবার থাকায় ছেলেরা কয়েকজন চলে যাই দুর্গ সংলগ্ন মসজিদে জুমআ’র নামাজ আদায় করতে। বাকীরা সবাই দুর্গের প্রাচীরের পাশে বসে আড্ডায় মেতে উঠে। ঘণ্টা খানেক এখানে আমরা সময় কাটিয়ে দেই গল্প আর খুনসুটি করে। 


নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত। জলদুর্গের বৈশিষ্ট্য মন্ডিত দুর্গটি শীতলক্ষ্যার সঙ্গে পুরাতন বুড়িগঙ্গার সঙ্গমস্থলে নির্মিত হয়। সম্ভবত মুগল সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক ঢাকায় মুগল রাজধানী স্থাপনের অব্যবহিত পরে নদীপথে মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে দুর্গটি নির্মিত হয়। চতুর্ভুজাকৃতির এই দুর্গের পঞ্চভুজি বেষ্টন-প্রাচীরে রয়েছে বন্দুক ঢুকিয়ে গুলি চালাবার উপযোগী ফোকর এবং চারকোণে গোলাকার বুরুজ। 


প্রাচীরের চারদিকে অভ্যন্তরভাগে দেয়ালের ভিত থেকে ১.২২ মিটার উঁচুতে রয়েছে চলাচলের পথ এবং এর দেয়ালেও আছে গুলি চালাবার উপযোগী ফোকর। চারকোণের প্রতিটি বুরুজের অভ্যন্তরভাগে দুর্গ প্রাচীরের শীর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত সিঁড়ি এবং এর বপ্র বহির্গত অংশে রয়েছে বন্দুকে গুলি চালাবার প্রশস্ততর ফোকর। দুর্গের চতুর্ভুজাকৃতির অঙ্গনের এক কোণে রয়েছে ইটের তৈরি একটি সুউচ্চ চৌকা স্তম্ভ। এটি সম্ভবত একটি পর্যবেক্ষণ বুরুজ। এই স্তম্ভের অবস্থান থেকেই দুর্গটিকে সমসাময়িক অপরাপর জলদুর্গের সমগোত্রীয় বলে ধরে নেয়া যায়। কামান বসানোর উপযোগী উঁচু বেদীর অবস্থান দুর্গটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। 


অবস্থানঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী হাজীগঞ্জ দুর্গটি হাজীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। নদী পার হতে পায়ে হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত এই দুর্গটি হাজীগঞ্জ এসে যে কাউকে বললেই আপনাকে দেখিয়ে দেবে। 


হাজীগঞ্জ দুর্গে আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে সবাই টের পাচ্ছিলাম পেটে ছুঁচোদের আনাগোনা, ঘড়িতে যে সময় তখন দুপুর দুইটা পেরিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের সুখ্যাত “মাউরার হোটেল” এর গরুর মাংস, সাথে নানান ভর্তা-ভাজি দিয়ে উদরপূর্তি করে নিয়ে আমাদের দলটি এবার পা বাড়াল পরবর্তী গন্তব্য বিবি মরিয়মের সমাধির পাণে। 


বিবি মরিয়মের সমাধিঃ বিবি মরিয়মের সমাধি নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ মহল্লায় বিবি মরিয়ম মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত। চারদিকে প্রাচীর বেষ্টিত উঁচু ভিতের উপর একটি চতুর্ভুজাকৃতির বেদীর মধ্যস্থলে সৌধটি স্থাপিত। এক গম্বুজ বিশিষ্ট বর্গাকার এই ইমারতটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে খিলান ছাদ বিশিষ্ট বারান্দা। সৌধের মধ্যবর্তী বর্গাকার কক্ষে রয়েছে শ্বেত পাথরে লতাপাতার নকশা শোভিত তিন ধাপ বিশিষ্ট সমাধি। শিরোভাগে ইটের তৈরি কবর-ফলক। 


সৌধে সমাহিত বিবি মরিয়মের পরিচয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। সৌধের খাঁড়া আকৃতির গম্বুজ এবং অপরাপর স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের নিরীখে আহমদ হাসান দানী এই সৌধকে ঢাকার লালবাগ দুর্গ প্রাঙ্গণে ইরান দখ্ত ওরফে বিবি পরীর সমাধিসৌধের সমগোত্রীয় বলে মনে করেন, এবং তিনি এই বিবি মরিয়মকে বাংলার মুগল সুবাদার শায়েস্তা খানের কন্যা এবং ইরান দখ্তের ভগ্নি তুরান দখ্তের সঙ্গে অভিন্ন বলে মনে করেন। কিন্তু সৈয়দ মোহাম্মদ তাইফুরের মতে এই সমাধিসৌধটি ঈসা খান মসনদ-ই-আলার পত্নী জনৈক মরিয়ম খাতুনের সমাধিরূপে নির্দেশিত। দুটি কারণে তাইফুরের মতকে কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। প্রথমত, হাজীগঞ্জ কেল্লা প্রাঙ্গণের অন্তর্ভুক্ত বর্তমান স্থলটি খিজিরপুরের সঙ্গে অভিন্ন এবং এই খিজিরপুর ছিল ঈসা খানের সুরক্ষিত দুর্গবেষ্টিত নগরী, সামরিক ও নৌঘাটি; দ্বিতীয়ত বিবি মরিয়মের সমাধিসৌধের স্থাপত্য রীতি প্রচলিত শায়েস্তাখানি স্থাপত্য রীতি থেকে ভিন্নতর। এই সমাধি দেখে আমার প্রথমেই মনে পড়ে যায়, লালবাগের কেল্লার পরী বিবি’র মাজারের কথা। মনে হয় যেন, সেই সমাধিটি কেউ উঠিয়ে এনে এখানে স্থাপন করে গেছে। মূল সড়ক হতে একটু ভেতরের দিকে মসজিদের সংলগ্ন এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনটি খুঁজে পেতে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে মূল রাস্তায় স্থাপিত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড’টির প্রতি। 

অবস্থানঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে এসে চাষাড়া বা বন্দর হতে হাজীগঞ্জ এসে “হাজীগঞ্জ মসজিদ” খোঁজ করুন। এর পাশেই রয়েছে এই বিবি মরিয়মের সমাধি। 


কদম রসূল দরগাহঃ আমাদের এর পরের গন্তব্য ছিল বহুল আলোচিত কদম রসূল দরগাহ। ইতিহাস মতে, কদম রসুল দরগাহ পাঁচ শ বছরের পুরানো আধ্যত্মিক এবং অলৌকিক ঘটনাবলির প্রাণকেন্দ্র। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) কদম মোবারক (পদচিহ্ন) সংবলিত একটি কালো পাথরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইতিহাসখ্যাত এ দরগাহ শরিফ কদম রসূল দরগায়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মেরাজের রাত্রে বোরাকে উঠবার সময় বেশকিছু পাথরে তার পায়ের ছাপ পরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি আছে জেরুরাজালেমে। তাছাড়া আর কিছু পাথর রয়েছে ইস্তাম্বুল, কায়রো এবং দামেস্কতেও। বাংলাদেশেও এমন দুটি পাথর রয়েছে, যার একটি আছে চট্রগ্রামে আর অপরটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্য নদীর পূর্ব তীঁরে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কদম রসুল দরগায়। 


বড়সড় একটি খড়ম আকৃতির কালো পাথরটিতে রয়েছে একটি পায়ের ছাপ। পাঁচশ’ বছর ধরে এ ইতিহাস লাখ লাখ মানুষকে এখানে টেনে আনছে। ঐতিহাসিকদের মতে, ৯৮৬ হিজরি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আফগান নেতা মাসুম খান কাবুলি পদচিহ্ন সংবলিত এ পাথরটি একজন আরব বণিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। পরে মাসুম খান বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকাতে বিশাল এলাকা নিয়ে ৬০ ফুট উঁচু মাটির টিলা তৈরি করে একটি পদচিহ্ন স্থাপন করেন। ঢাকার জমিদার গোলাম নবী ১৭৭৭-১৭৭৮ সালে এ সৌধটি নির্মাণ করেন। আর কদম রসুল দরগার প্রধান ফটকটি গোলাম নবীর ছেলে গোলাম মুহাম্মদ ১৮০৫-১৮০৬ সালে নির্মাণ করেন। 


মির্জা নাথান তাঁর ‘বাহারি স্থানের গায়েবী’ গ্রন্থে লিখেছেন, সম্রাট শাহাজাহান জাহাঙ্গীর নগরে (ঢাকা) আসার পথে ঐতিহাসিক কদম রসুল পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি সেলামিস্বরূপ একশ’ স্বর্ণমুদ্রা ও ৮০ বিঘা করমুক্ত জমি দান করেন। সম্রাট শাহজাহানের আদেশে কদম রসুল দরগাহে মিলাদ মাহফিল ও গরিব ভোজ চালু করা হয় ১২ রবিউল আউয়াল, যা এখনো চলছে। 

অবস্থানঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর এসে নবীগঞ্জ চলে আসুন, এখানে এসে যে কাউকে বললেই আপনাকে দেখিয়ে দেবে কদম রসূল দরগাহ এর পথ। 


সোনাকান্দা দুর্গঃ আমাদের শেষ গন্তব্য ছিল সোনাকান্দা দুর্গ। বিকেলের মায়াবী আলোয় আমরা প্রবেশ করি ঐতিহাসিক সোনাকান্দা দুর্গে। সোনাকান্দা দুর্গ শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে অবস্থিত একটি মোঘল জলদুর্গ।


হাজীগঞ্জ দুর্গের প্রায় বিপরীত দিকে এ দুর্গের অবস্থান। নদীপথে ঢাকার সাথে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ নদীপথগুলির নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোঘলগণ কতকগুলি জলদুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, সোনাকান্দা দুর্গ তার অন্যতম। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরএর অধীনে বেশ কয়েকবার এ দুর্গের সংস্কার কার্য সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা দেওয়াল এবং শক্তিশালী কামান স্থাপনার জন্য উত্তোলিত মঞ্চটি এখনও পূর্বের অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। 


চতুর্ভুজাকৃতির এ দুর্গ আয়তনে ৮৬.৫৬ মি ৫৭.০ মি এবং ১.০৬ মি পুরু দেওয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত যার উচ্চতা ৩.০৫ মি। দেওয়ালের তলদেশ নিরেটভাবে তৈরি। বৃত্তাকার কামান স্থাপনা মঞ্চটির পশ্চিম দিকে সিঁড়ি আছে, যা উত্তোলিত মঞ্চ পর্যন্ত বিস্তৃত। এ উঁচু মঞ্চে প্রবেশের জন্য পাঁচ খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে। কামান স্থাপনার উঁচু মঞ্চে শক্তিশালী কামান নদীপথে আক্রমণকারীদের দিকে তাক করা থাকত। এটি মোঘল জলদুর্গের একটি নতুন বৈশিষ্ট্য। 


অবস্থানঃ সোনাকান্দা দুর্গ শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় এসে যে কোন রিকশাওয়ালা’কে বললেই নিয়ে যাবে এই দুর্গে। 

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ 

Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ