দিল্লী হিল্লি (নিজে নিজে ঘুরে আসুন দিল্লীর আনাচে কানাচে)

কুতুব মিনার,লালকেল্লা, নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ,হুমায়ূনের টম্ব,জামে মসজিদ,চাঁদনীচক,ইন্ডিয়া গেট,লোটাস টেম্পল,জন্তর-মন্তর,স্বামী নারায়ন আকসার ধাম,গান্ধী স্মৃতি,লদী গার্ডেন,লক্ষ্মী নারায়ণ (বিড়লা) মন্দির,পুরানা কিল্লা,সফদারগঞ্জ টম্ব, দিল্লী ভ্রমণ, দিল্লী দর্শন,দিল্লী,মেট্রোতে দিল্লী ভ্রমণ,মেট্রোতে দিল্লী ট্যুর,মেট্রোতে দিল্লী ঘোরাঘুরি,পুরানা দিল্লী,পুরাতন দিল্লী,ভারত ভ্রমণ,কম খরচে ভারত ভ্রমণ,Jama Masjid,Qutub Minar,Humayun's Tomb,Raj Ghat,Parliament House,India Gate,Akshardham,Safdarganj Tomb,Purana Qilla,Nizamuddin Dargah,Chandni Chowk,Old Delhi,Delhi Trip,Delhi Sightseeing,
 

সাধারণত স্থলপথে বা রেলপথে আগ্রা-জয়পুর, সিমলা-মানালি, জম্মু-কাশ্মীর সহ অনেক রুটের পর্যটকদেরই কিন্তু দিল্লী হয়ে যেতে হয়। ফলে এক-দুই দিন যাত্রা বিরতি থাকে দিল্লী’তে। সেই দিনগুলো কাজে লাগিয়ে পুরো দিল্লী চষে বেড়াতে পারেন খুব সহজেই। আর যদি দিল্লী দর্শনের জন্যই যাওয়া হয় তাহলে তো কোন কথা নেই। দিল্লী ঘোরাঘুরি করে ভাজাভাজা না হোক, কিছুটা হিল্লি তথা হিল্লে তো করাই যায়; তাই না। আসুন দেখে নেই দিল্লী ভ্রমণের পরিকল্পনাঃ 

ঢাকা টু কলকাতাঃ বাংলাদেশ থেকে অতি অল্প খরচে দিল্লী যাওয়ার রুট হলঃ ঢাকা থেকে যশোহর হয়ে বেনাপল; ভাড়া ছয়শত টাকা’র মধ্যে হয়ে যাবে। এরপর ইমিগ্রেশন শেষে বর্ডার পার হয়ে পেট্রাপল হতে বনগাঁ হয়ে হাওড়া। খরচ একশত টাকার মত, আর বাসে করে কলকাতা গেলে খরচ ২০০-৩০০ টাকা। তো সবমিলিয়ে সাতশত থেকে হাজার টাকায় কলকাতা। যাওয়া আসা দুই হাজার। এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতার বাস আছে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে। 

কলকাতা টু দিল্লীঃ এবার হাওড়া থেকে যাব দিল্লী। স্লিপার ক্লাসে পাঁচটা ট্রেন হাওড়া থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়ঃ 

(১) প্রভা এক্সপ্রেস (ট্রেন নাম্বার-১২৩০৩) সকাল ০৮:০৫ এ ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকাল ০৭:৩৫ এ পৌঁছবে; চলে শুক্র, শনি, সোম এবং মঙ্গল বার। ভাড়া সাকুল্যে ৭০০ রুপী’র মত। 

(২) ইউবহা তুফান এক্সপ্রেস (ট্রেন নাম্বার-১৩০০৭) সকাল ০৯:৩৫ এ ছেড়ে গিয়ে পরদিন সন্ধ্যা ০৭:৪০ এ পৌঁছবে; চলে সপ্তাহের প্রতিদিন। ভাড়া সাকুল্যে ৬৫০ রুপী’র মত। 

(৩) হাওড়া দিল্লী কলকা মেইল (ট্রেন নাম্বার-১২৩১১) সন্ধ্যা ০৭:৪০ এ ছেড়ে গিয়ে পরদিন রাত ০৯:৪০ এ পৌঁছবে; চলে সপ্তাহের প্রতিদিন। ভাড়া সাকুল্যে ৬৫০ রুপী’র মত। 

(৪) এনডিএলএস দুরন্ত (ট্রেন নাম্বার-১২২৭৩) দুপুর ১২:৪৫ এ ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকাল ০৬:২০ এ পৌঁছবে; চলে সপ্তাহের দুইদিন মাত্র, শুক্রবার এবং সোমবার। ভাড়া সাকুল্যে ৯৫০ রুপী’র মত। 

(৫) হাওড়া আনভাতি এক্সপ্রেস (ট্রেন নাম্বার-১২৩২৩) সন্ধ্যা ০৬:৩০ এ ছেড়ে গিয়ে পরদিন বিকেল ০৫:০০ এ পৌঁছবে; চলে সপ্তাহের দুইদিন মাত্র, মঙ্গল এবং শুক্রবার। ভাড়া সাকুল্যে ৬৫০ রুপী’র মত। এছাড়া ২১০০ রুপী ভাড়া দিয়ে আপনি চাইলে থ্রি টায়ার এসি’র রাজধানী এক্সপ্রেসে করে বিকেল ০৪:৫০ এর ট্রেনে চড়ে পরদিন সকাল ১০:৩০ নাগাদ দিল্লী পৌঁছে যেতে পারেন। 

এবার করি দিল্লী হিল্লিঃ রেলষ্টেশন থেকে বের হয়ে হাতের বাম দিকে মিনিট খানেক এগিয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন মেট্রো ষ্টেশন। এখান হতে টিকেট কাটুন রাজীব চওক এর জন্য, বেশী দূর নয়, পার্শ্ববর্তী ষ্টেশন। এবার দিল্লী এসে কমখরচে থাকার জায়গার খোঁজ। আমাদের সুবিধার জন্য আমরা থাকব দিল্লীর রাজীব চওক এলাকায়। কারণ রাজীব চওক হল আমাদের কাঙ্ক্ষিত তিনটি মেট্রো লাইনঃ ইয়েলো, ব্লু এবং পারপেল এর ক্রস ষ্টেশন। শতাধিক হোটেল রয়েছে এখানে, আপনার বাজেটের মধ্যে যা সবচেয়ে ভাল হয় উঠে পড়ুন। এখানে ৫০০-৫০০০ রুপীর মধ্যে হোটেল পাবেন। booking.com, agoda, makemytrip goibibo সহ আরও অনেক সাইটে খুঁজে পাবেন সহজেই অল্প খরচের হোটেলের ইতিবৃত্ত এবং তাদের অফার। 

এবার দেখি কি কি দেখার পালা, তার একটা তালিকা করা যাকঃ 
কি কি দেখব? 
(01) কুতুব মিনার 
(02) লালকেল্লা 
(03) নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ 
(04) হুমায়ূনের টম্ব 
(05) জামে মসজিদ 
(06) চাঁদনীচক 
(07) ইন্ডিয়া গেট 
(08) লোটাস টেম্পল 
(09) জন্তর-মন্তর 
(10) স্বামী নারায়ন আকসার ধাম 
(11) গান্ধী স্মৃতি 
(12) লদী গার্ডেন 
(13) লক্ষ্মী নারায়ণ (বিড়লা) মন্দির 
(14) পুরানা কিল্লা 
(15) সফদারগঞ্জ টম্ব। 

কিভাবে দেখব? দিল্লী দর্শনের জন্য দিল্লীতে সরকারী বেসরকারী নানান দিল্লী সিটি ট্যুর প্যাকেজ আছে, যা অর্ধবেলা এবং পূর্ণবেলা দুইভাবেই আছে। খরচ ২৫০ রুপী থেকে ২০০০ রুপী পর্যন্ত। তো আমরা ঘুরব নিজে নিজে, কারণ আমরা গরীব মানুষ, আর তার সাথে দিল্লীর ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে আমরা ব্যবহার করব দিল্লীর বিখ্যাত মেট্রোরেল। আসুন শুরু করা যাক। আমাদের লিস্টের পর্যটন কেন্দ্রগুলো মূলত দিল্লীর ছয়টি মেট্রো রুটের তিনটির মধ্যে আছেঃ ইয়েলো লাইন, ব্লু লাইন এন্ড পারপেল লাইন। 

প্রথম দিনঃ আমরা প্রথম দিন শুরু করব ব্লু লাইন ধরে। প্রথমেই আমরা রাজীব চওক হতে টিকেট কাটব আকসার ধাম ষ্টেশন এর। এখানে দেখব স্বামী নারায়ন আকসার ধাম; এটা দেখা শেষে আমরা মেট্রো করে চলে আসব ইন্দ্রপ্রস্থ ষ্টেশন। এখানে আছে গান্ধী স্মৃতি কেন্দ্র, পাশেই বিখ্যাত ফিরোজ শাহ কোটলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এগুলো দেখা শেষে আমরা চলে যাব পরবর্তী ষ্টেশন প্রগতি ময়দান, চাইলে পায়ে হেঁটেও যেতে পারেন, ঠিক পরের স্টপেজ। এখানে আছে বিখ্যাত ইন্ডিয়া গেট। তাই পায়ে হেঁটে আসটাই ভাল, রাস্তা দিয়ে দেখতে দেখতে যাবেন সেখানে। এরপর মেট্রো করে চলে যান রামকৃষ্ণ মার্গ আশ্রম ষ্টেশন, সেখানে আছে বিখ্যাত বিড়লা টেম্পল। চাইলে সকালবেলা এটা দিয়ে শুরু করে তারপর আকসার ধাম চলে যেতে পারেন। এতে করে সন্ধ্যেটা বিখ্যাত ইন্ডিয়া গেটে কাটাতে পারবেন। এরপর আর কি আবার রাজীব চওক, এবং হোটেলে প্রস্থান। 

এইদিনের স্পটগুলো তথ্যাবলীঃ 


(01) স্বামী নারায়ন আকসার ধাম 
অবস্থানঃ 5 Tees January Marg, Central New Delhi। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ আকসার ধাম (Akshardham) 
ভাড়াঃ রাজীব চওক থেকে আকসার ধাম - ১৫ রুপী 
এন্ট্রি টিকেটঃ পূর্ণ বয়স্ক ১৭০ রুপী, সিনিয়র সিটিজেন ১২৫ রুপী, ৪-১১ বছরের শিশু ১০০ রুপী।
সময়সূচীঃ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা প্রতিদিন, সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। 



(02) গান্ধী স্মৃতি 
অবস্থানঃ রাজঘাট, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ ইন্দ্রপ্রস্থা (Indraprastha) 
ভাড়াঃ আকসার ধাম থেকে ইন্দ্রপ্রস্থা – ১০ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ ফ্রি। 
সময়সূচীঃ সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা প্রতিদিন, সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার।

এই পথে বোনাস হিসেবে পাশেই আছে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম, এক নজর দেখে নিতে পারেন।  


(03) ইন্ডিয়া গেট 
অবস্থানঃ কনট প্লেস এর নিকটে, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ প্রগতি ময়দান (Pragati Maidan) 
ভাড়াঃ ইন্দ্রপ্রস্থা থেকে প্রগতী ময়দান - ০৮ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ ফ্রি। 
সময়সূচীঃ ২৪ ঘণ্টা। 


(04) পুরানা কিল্লা 
অবস্থানঃ দিল্লী চিড়িয়াখানা রোড, মাথুরা, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ প্রগতি ময়দান (Pragati Maidan.) 
ভাড়াঃ জোরবাগ থেকে – ১৮ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশী পর্যটক ২০০ রুপী, ভারতীয় নাগরিক ২০ রুপী। ছবি তোলার ক্যামেরার জন্য কোন ফি নেই, ভিডিও’র জন্য ২৫ রুপী। 
সময়সূচীঃ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। 


(05) লক্ষ্মী নারায়ণ (বিড়লা) মন্দির 
অবস্থানঃ গোল মার্কেট, মান্দির মার্গ, কনট প্লেস, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ আর কে আশ্রাম মার্গ (R. K. Ashram Marg) 
ভাড়াঃ প্রগতি থেকে আর কে আশ্রাম মার্গ – ১০ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ সবার জন্য উন্মুক্ত। মোবাইল, ফটো বা ভিডিও এর অনুমোদন নেই। 
সময়সূচীঃ সকাল সাড়ে চারটা থেকে দুপুর দেড়টা; দুপুর আড়াইটা থেকে রাত নয়টা। 

 * আর কে আশ্রাম মার্গ থেকে রাজীব চওক মেট্রো ভাড়া ০৮ রুপী। 

দ্বিতীয় দিনঃ দ্বিতীয় দিন সকালে আমরা শুরু করব ইয়েলো লাইন ধরে। আমরা প্রথমেই রাজীব চওক হতে ইয়েলো লাইনের টিকেট করে চলে যাব কুতুব মিনার ষ্টেশন। সেখান থেকে অটো রিকশা করে কুতুব মিনার দর্শন। এরপর সেখান থেকে আবার মেট্রো ষ্টেশন এসে টিকেট করব জোরবাগ পর্যন্ত। এখানে আমরা দেখব সফদারগঞ্জ টম্ব এবং সেখানে থেকে যাব প্যাটেল চওক সেখানে আছে বিখ্যাত জন্তর-মন্তর। জন্তর মন্তর ফুঁ ;) শেষে আমরা যাব চওরি বাজার ষ্টেশন। এখানে নেমে দিল্লী জামে মসজিদ দেখে পায়ে হেঁটে হেঁটে চলে আসব চাঁদনী চওক এলাকায়। এখানে ঘুরাঘুরি করে চলে যাব লালকেল্লা। সন্ধ্যের আগে আগে বের হয়ে এসে কিছু চা-নাস্তা করে আবার লালকেল্লা, রাতের লাইট এন্ড সাউন্ড শো দেখতে। এরপর পুরাতন দিল্লীর কাবাব আর বিরিয়ানি দিয়ে ডিনার করে চাঁদনী চওক মেট্রো ষ্টেশন হতে টিকেট করে সোজা রাজীব চওক। হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিন। 

এইদিনের স্পটগুলো তথ্যাবলীঃ 

(06) কুতুব মিনার 
অবস্থানঃ মেহেরাউলি, দক্ষিণ নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ কুতুব মিনার (Qutub Minar) 
ভাড়াঃ রাজীব চওক থেকে কুতুব মিনার – ১৮ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশী পর্যটক ৫০০ রুপী, ভারতীয় ৩০ রুপী। ১৫ বছরের নীচে ফ্রি। 
সময়সূচীঃ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রতিদিন। 


(07) সফদারগঞ্জ টম্ব 
অবস্থানঃ সফদারগঞ্জ রোড এবং অরবিন্দ মার্গ এর রাস্তার মাঝে, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ জোরবাগ (Jorbagh) 
ভাড়াঃ কুতুব মিনার থেকে জোরবাগ – ১৬ রুপী। 
এ ন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশী পর্যটক ২০০ রুপী, ভারতীয় নাগরিক ১৫ রুপী। ছবি তোলার ক্যামেরার জন্য কোন ফি নেই, ভিডিও’র জন্য ২৫ রুপী। 
সময়সূচীঃ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। 


(08) জন্তর-মন্তর 
অবস্থানঃ পার্লামেন্ট স্ট্রীট, কনট প্লেস, দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ প্যাটেল চওক (Patel Chowk) 
ভাড়াঃ জোরবাগ থেকে প্যাটেল চওক – ১২ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশী পর্যটক ১০০ রুপী, ভারতীয় নাগরিক ০৫ রুপী। 


(09) জামে মসজিদ 
অবস্থানঃ পুরাতন দিল্লীর চাঁদনী চক এর বিপরীতে, লালকেল্লার সন্নিকটে। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ চওরী বাজার (Chawri Bazaar)। 
ভাড়াঃ প্যাটেল চওক থেকে চওরী বাজার – ১০ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ জামে মসজিদে প্রবেশে কোন এন্ট্রি ফি নেই। তবে ক্যামেরার জন্য ২০০ রুপী প্রদান করতে হয়। 
সময়সূচীঃ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত নামাজের সময় ব্যতীত পুরো সময় পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। 



(10) চাঁদনীচক 
অবস্থানঃ পুরাতন দিল্লীর জামে মসজিদ এর এলাকা এটি। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ চাঁদনী চক (Chandni Chowk)। 
ভাড়াঃ চওরি বাজার থেকে চাঁদনী চক - ০৮ রুপী। চাইলে হেঁটে হেঁটে পুরাতন দিল্লীর রূপ দেখে দেখে ঘুরে বেড়াতে পারেন জামে মসজিদ থেকে চাঁদনী চক হয়ে লালকেল্লা পর্যন্ত। 
এন্ট্রি টিকেটঃ চাঁদনী চক হল পুরাতন দিল্লীর একটি বিখ্যাত এলাকা। এখানে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান, কেনাকাটা করুন, বিখ্যাত কাবাব আর বিরিয়ানি চেখে দেখুন। 
সময়সূচীঃ কাকডাকা ভোর হতে মধ্য রাত অবধি। 



(11) লালকেল্লা 
অবস্থানঃ নেতাজী সুভাষ মার্গ, চাঁদনী চক, পুরাতন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ চাঁদনী চক (Chandni Chowk)। 
ভাড়াঃ প্রযোজ্য নয়। 
এন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশীদের জন্য ৫০০ রুপী, ভারতীয়দের জন্য ৩৫ রুপী। ছবি তোলার জন্য কোন ক্যামেরা ফি নেই; তবে ভিডিও এর জন্য ২৫ রুপী। 
সময়সূচীঃ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকেল ০৬:০০টা। 
সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ। 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সন্ধ্যে ছয়টার পর লাইট এন্ড সাউন্ড শো, প্রাপ্ত বয়স্ক ৮০ রুপী, শিশুদের জন্য ৩০ রুপী।চাঁদনী চক থেকে রাজীব চওক মেট্রো ভাড়া ১০ রুপী। 

তৃতীয় দিনঃ তৃতীয় দিন আমাদের রুট হল পারপেল লাইন। এদিন আমরা দিল্লী হতে ব্যাক করব, তাই এদিনের লিস্ট ছোট। প্রথমেই সকাল বেলা রাজীব চওক হতে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম স্টেশনে চলে আসুন। এখানে একে একে দেখুন হুমায়ুন টম্ব, নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ, লদী গার্ডেন। আর স্টেডিয়ামে তো চোখ যাবেই। এখান থেকে এবার টিকেট কাটুন কালকা মন্দির এর, সেখানে আছে বিখ্যাত লোটাস টেম্পল। মন ভরে দেখে নিয়ে ব্যাক করুন রাজীব চওক। আর যদি সকাল বেলা ব্যাগ নিয়েই বের হন, তাহলে সুবিধামত সময়ে চলে আসুন রেল ষ্টেশন ফিরতি ট্রেন ধরার জন্য।

এইদিনের স্পটগুলো তথ্যাবলীঃ 


(12) হুমায়ূনের টম্ব 
অবস্থানঃ নিজামুদ্দিন ইষ্ট, মথুরা রোড, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম (Jawaharlala Nehru Stadium) 
ভাড়াঃ সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট থেকে – ১২ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ বিদেশী পর্যটক ৫০০ রুপী, ভারতীয় ৩০ রুপী। ১৫ বছরের নীচে ফ্রি। ছবির জন্য কোন ক্যামেরা চার্জ নেই, ভিডিও চার্জ ২৫ রুপী। 
সময়সূচীঃ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, বেটার ভিউ পাওয়া যায় শেষ বিকেলের দিকে। 



(13) নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ 
অবস্থানঃ নিজামুদ্দিন ইষ্ট, মথুরা রোড, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম (Jawaharlala Nehru Stadium) 
ভাড়াঃ সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট থেকে – ১২ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ সবার জন্য উন্মুক্ত। 
সময়সূচীঃ সকাল থেকে রাত অবধি। 



(14) লদী গার্ডেন 
অবস্থানঃ লদী রোড, হুমায়ুন এর মাজার এর কাছে, নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম (Jawaharlala Nehru Stadium) 
ভাড়াঃ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম থেকে – ১৫ রুপী।
এন্ট্রি টিকেটঃ সবার জন্য উন্মুক্ত। 
সময়সূচীঃ সকাল থেকে রাত আটটা অবধি।



(15) লোটাস টেম্পল 
অবস্থানঃ নেহেরু প্লেস এর নিকটে, দক্ষিণ নতুন দিল্লী। 
নিকটবর্তী মেট্রো ষ্টেশনঃ কালকাজি মান্দির (Klkaji Mandir) 
ভাড়াঃ জোরবাগ থেকে – ১৮ রুপী। 
এন্ট্রি টিকেটঃ সবার জন্য উন্মুক্ত। 
সময়সূচীঃ সকাল নয়টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। 

দিল্লী দর্শনের মেট্রো রুট ম্যাপঃ 
মাঝখানের লাল বৃত্ত হল দিল্লী ষ্টেশন এবং রাজিব চওক এলাকা। এরপর খেয়াল করুন ইয়েলো লাইনে আপনার স্টপেজগুলো সবুজ বৃত্ত দিয়ে; ব্লু লাইনে লাল বৃত্ত দিয়ে এবং পারপেল লাইনে হলুদ বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। জাস্ট ফলো ইট। DELHI METRO ROUTE MAP





মন্তব্যসমূহ

Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ