ফলের হাট
আমাদের দেশে পর্যটন মানেই সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, নানান আনন্দ আয়োজন, আরামদায়ক হোটেল-মোটেল-কটেজ এর একটি ভারসম্যপূর্ণ সংমিশ্রন। আবার যারা এক্সট্রিম লেভেলের এডভেঞ্চারাস, তাদের জন্য পাহাড়ে ট্রেকিং, হাইকিং, অথবা গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া মানেই পর্যটন। কিন্তু অতি সাধারণ মানুষের জন্য অতি সাধারণ কিছু বিষয়কে পুঁজি করে বিশ্বে বহু জায়গায় গড়ে উঠেছে নানান পর্যটন শিল্প। দরকার কিছুটা ভাবনা, কিছুটা ইচ্ছে আর কিছুটা উদ্দ্যোগ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক তীর্থধাম দর্শন নিয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশাল পর্যটন শিল্প। এরকম হাজারো উদাহরণ টেনে এই লেখাকে বড় না করে আসুন শুরু করি নতুন একটা সিরিজঃ “পর্যটন ভাবনায় বৈচিত্র এবং সম্ভাবনা”। বহুদিন পর ইচ্ছেরা সব নাড়াচাড়া দিয়ে উঠছে, তাই ঘুমাতে যাওয়ার সময় এই সিরিজ নিয়ে লেখার অনেকদিনের চাপা ইচ্ছেটা আর চাপা দিয়ে রাখা গেল না। ভোর ছয়টায় অফিসের উদ্দেশ্যে ছুটতে হবে, তারপরও লিখতে বসে গেলাম। বহুদিন পর এই আগ্রহটা অদ্ভুত একটা ভাললাগায় ছেয়ে দিচ্ছে মনোজগৎ এর গহীনে সুপ্ত কিছু অনুভূতির দলকে।
এই সিরিজে আমাদের প্রচলিত পর্যটন ভাবনার বাইরে গিয়ে ভাবতে চেষ্টা করব আমাদের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে। আশা করবো মন্তব্যে আপনাদের কাছ থেকে আরও নতুন অনেক কনসেপ্ট পাওয়া যাবে, যা নিয়ে আগামীতে এগিয়ে যাবে এই সিরিজ। আর কথা না বাড়িয়ে আসুন শুরু করি এই সিরিজের আজকের পর্বঃ ফলের হাট। ফলের হাট নিয়ে প্রথম ভ্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে কলেজ লাইফে, ফজলি আম পনেরটাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল রাস্তার এক ফেরিওয়ালার কাছে, যদিও আমের কোয়ালিটি তেমন ভাল ছিল না। তখন এক বন্ধু বলল, আমাদের উত্তরবঙ্গে চলিস, রাজশাহীতে আমের হাট বসে, পাঁচ-দশ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হয় সেই হাটে! সেই প্রথম শুনি ফলের হাট নিয়ে গল্প। এরপর আরও অনেক সময় অনেক ফলের হাটের গল্প শুনেছি, গিয়েছি কয়েকটিতে। আজকের আলোচ্য থাকবে কয়েকটি বিশেষ ফলের বাজার নিয়ে। এর বাইরে আপনার জানা থাকলে কোন ফলের বাজারের কথা মন্তব্যে তুলে দিতে ভুলবেন না যেন।
আমের হাটঃ আমের হাটের কথা আসলেই চলে আসে উত্তরবঙ্গের নাম। রাজশাহী না চাপাই? কোথাকার আম বেশী ভাল এবং কোথাকার হাট বেশী জমজমাট? এই নিয়ে চলে বিস্তর গবেষণা। যাই হোক এই দুই জায়গাতেই গ্রীষ্মকালে বসে আমের হাট। রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘায় অনেক আমের বাগান রয়েছে আর আমের বড় হাটটি বসে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম বানেশ্বর বাজারে। কাকডাকা ভোরে জমজমাট হয়ে উঠে আমের বাজারগুলো। তবে আম বাগানের আসল মজা পেতে হলে যেতে হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এখানকার শিবগঞ্জ উপজেলাকে বলা হয় আমের রাজধানী। আর কানসাটের আমের হাট এর কথা কে না জানে? কানসাটের আরেকনাম যেন আমের হাট। তাই রাজশাহী না কানসাট, সেই বিতর্কে না গিয়ে বলি আমের মৌসুমে তথা এপ্রিলে-মে-জুন মাস জুড়ে চলা গ্রীষ্মকালে এই হাটে ভ্রমণ হতে পারে আপনার জীবনের অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় ভ্রমণ। দেশের যে কোন প্রান্ত হতে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী বেশীরভাগ গাড়ীই রাজশাহী যায়, সেখান হতে চাপাই মাত্র কিলো পঞ্চাশেক দূরত্বে। তাই একরাতে রওনা দিয়ে ভোরবেলা রাজশাহী পৌঁছে ঢুঁ মারতে পারেন এই আমের হাটে, একদিন বেশী সময় থাকলে চাপাই হয়ে আসতে পারেন; এক ঢিলে দুই পাখি শিকার হবে তবে। চারিদিকে নানান জাতের আম, নানান রঙের আভার সাথে মিষ্টি সুবাস, পাইকারদের হাঁকডাক, ক্রেতাদের দরদাম, কুলিদের মাল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, চারিদিকে এক উৎসবমুখর ব্যস্ততা সত্যি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর এই ফলের বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে ব্যতিক্রম এক পর্যটন কার্যক্রম। দরকার উদ্যোগ আর পরিকল্পনার।
লিচুর হাটঃ দিনাজপুরের লিচুর হাটের নাম শোনেন নাই এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। বোম্বাই, চায়না, দেশী, মাদ্রাজি, বেদানা প্রভৃতি নামের লিচুর বাহারি সমারোহ মিলবে দিনাজপুরের লিচুর বাজারে। আলো ফোটার আগেই পাইকাররা এসে ভিড় করে এই হাটে। লিচু তোলা হয় নিলামে। হাজার লিচুর প্রাথমিক দর ধরে শুরু হয় নিলাম, এই দর বাড়তে থাকে তরতর করে। কারণ, এখানকার লিচুর স্বাদ এবং গুণ। হাজার টাকায় একশত লিচু বিক্রি হওয়া এখানে খুব সাধারণ ব্যাপার। লিচু নিয়ে এখানকার কর্মকাণ্ড দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। তাই দিনাজপুর এসে একবার লিচুর হাট দেখার পর আপনিও আমার সাথে একমত হবেন, প্রতিটি মানুষ একবারের জন্য হলেও দিনাজপুরের লিচুর হাট দেখতে আসতে হবে। সাথে লিচু বাগানে ঢুঁ মারা, দিনাজপুর রাজবাড়ী আর কান্তজিউ মন্দির ভ্রমণ রয়েছে ফ্রি। ওহ, স্বপ্নপুরী? নাহ থাক, প্রথাগত পর্যটনের বাইরে বের হওয়া দরকার। তাই লিচুর বাগানে ঘুরে গাছ হতে লিচু পেড়ে খাওয়া আর লিচুর হাটে ঘোরাঘুরি করে বাড়ির জন্য কিছু লিচু নিয়েই না হয় ফিরতি পথ ধরা যাবেক্ষণ। এছাড়া উত্তরবঙ্গের ঈশ্বরদী সহ দেশের নানান অঞ্চলে মৌসুমে বসে লিচুর হাট।
পেয়ারা বাজারঃ হালের ক্রেজ দক্ষিণের ঝালকাঠি-স্বরূপকাঠির ভাসমান পেয়ারা বাজার। অতি উৎসাহী অনেকেই যাকে তুলনা করছেন থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেটের সাথে। আসলে সেই তুলনায় না গিয়ে বরং এর সম্ভাবনার কথা বলা যাক। ব্যাকওয়াটার এর মাঝে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, পানির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা পেয়ারা বাগান, খালের মাঝে সারি সারি নৌকা বোঝাই কাঁচাপাকা পেয়ারার বহর, এর মাঝে চলছে বেচাকেনা... সে এক অপূর্ব সংমিশ্রন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে রয়ছে গ্রাম্য হাটের আবহাওয়া। আর তাই তো অতি অল্প সময়ে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এই পেয়ারা বাজার। দেশের স্বনামধন্য পর্যটন ব্যাক্তিত্ব, অকালে চলে যাওয়া মাহমুদুল হাসান ভাইয়ের হাত ধরে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে দেশের পর্যটন ক্ষেত্রে এই ভাসমান পেয়ারা বাজার। আল্লাহ্ উনাকে বেহেশত নসীব করুন। এরকম করে যদি আমাদের সামাজিক-সংস্কৃতি নিয়ে পর্যটনে আমরা এগিয়ে যাই, তবে আমাদের দেশেও খুঁজে পাবো বিশাল সব পর্যটন সম্ভাবনা। শুধু পেয়ারা নয়, আমড়া, তরমুজ ইত্যাদি নিয়েও ব্যস্ত থাকে এই ভাসমান বাজারগুলো; বিশেষ করে স্বরূপকাঠির পুরো জনপদ।
আনারসের বাজারঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র বাজার, দেশের অন্যতম বড় আনারসের বাজার। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর, এই সময়ে জমজমাট থাকে এই আনারস বাজার। দেশের নানান প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় জমায় এই আনারসের হাটে। মধুপুরের শালবন ঘেঁষে থাকা গ্রামগুলোতে সারিসারি আনারস গাছের দেখা মেলে। আর এখানকার এই আনারস সব নিয়ে রাস্তার উপর বসে এই আনারসের হাট, ভরা মৌসুমে এ হাট ২৫ মাইলের মোড় থেকে অন্যদিকে পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। সপ্তাহের মঙ্গল ও শুক্রবার জায়গাটিতে বিশাল হাট বসে। খুব সকাল থেকেই জমজমাট থাকে এ হাট। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে বিনিময় ও শুভেচ্ছা পরিবহনের বাস যায় মধুপুর। এছাড়া মহাখালী থেকে যেকোনো বাসে চড়ে টাঙ্গাইল সদরে এসে সেখান থেকেও সহজেই মধুপুর আসতে পারেন। মধুপুর সদর থেকে অটো রিকশা ভাড়া করে আসতে হবে জলছত্র বাজার কিংবা মধুপুর জাতীয় উদ্যানে।
কাঠালের হাটঃ দেশের নানান অঞ্চলে বসে কাঠালের হাট। এর মধ্যে শৈলকূপায় বসে অন্যতম বড় একটি হাট যেখানে মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসে কাঠালের সরবরাহ। এছাড়া নড়াইল, ঝিনাইদহ, কুলাউড়া হতে শুরু করে পাহাড়ি জনপদ উখিয়ায় পর্যন্ত দেখা মেলে কাঠালের হাটের। মৌসুমী ফল হিসেবে গ্রীষ্মকালের শেষভাগে বসে এইসব কাঠালের হাট। কাঁঠালের মৌ মৌ গন্ধে বিভোর হয়ে যেতে হবে রসালো এই ফলের হাটে।
লটকনের হাটঃ নরসিংদী জেলাকে বলা হয়ে “লটকন বাড়ী”, কারণ সারা দেশে যত জায়গায় লটকন উৎপন্ন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু লটকন নরসিংদীর। জেলার শিবপুর ও রায়পুরা উপজেলা এবং এর আশপাশের এলাকা জুড়েই লটকনের চাষ হয়। তবে বেশি হয় শিবপুর উপজেলাতে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে বর্ষার শেষ অবধি থাকে এই লটকনের মৌসুম। এখানকার লটকন বিক্রির হাট বসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মরজাল বাজার বাসস্ট্যান্ড, শিবপুরের কামারটেক বাজার বাসস্ট্যান্ড, চৈতন্য বাজার ও গাবতলী বাজার। ঝুড়ি বোঝাই করে নানান এলাকা হতে লটকন নিয়ে ভোর থেকেই জড়ো হল চাষীরা, জড়ো হয় পাইকাররা। এরপর চলে বেচাবিক্রির ব্যস্ততা, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশ ব্যাপী। গুলিস্তান, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে সিলেট বা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাড়িতে শিবপুরের কামারটেক নামা যাবে। সেখান থেকে হেঁটে বা অটো রিকশায় ছোটাবন্দসহ এর আশপাশের গ্রামের লটকন বাগানে যাওয়া যাবে।
কলার হাটঃ গাইবান্ধার গাইবান্ধাসদর, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগজ্ঞ, সাদুল্লাপু, ফুলছড়ি প্রভৃতি এলাকায় দেখা মিলবে সারি সারি কলাগাছের, কলাবাগানের জগত যেন পুরো গাইবান্ধা। গাইবান্ধায় উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ কারণে একদিকে যেমন চাষিরা পাচ্ছেন কলার ন্যায্য মূল্য, অন্যদিকে এ বাজার ঘিরে ক্রেতা, বিক্রেতা, স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীসহ কয়েক শত পরিবার স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। আর এই কলা বেচাকেনা’কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কলার হাঁট। সদর উপজেলা, পলাশবাড়ি, সাদুল্লাপুর প্রভৃতি এলাকায় বসে এসব কলার হাঁট। গাইবান্ধার ফাঁসিতলা থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে সারি সারি সাজিয়ে রাখা কলার হাঁট শুরু হয়ে যায় সূর্য ওঠার সাথে সাথেই, চলে বেলা এগারোটা পর্যন্ত। দেশের নানান অঞ্চল হতে ব্যাপারীরা আসে এই কলা কিনতে। হাঁট ভাঙলে পরে ট্রাকে, ভ্যানে, পিক-আপ ভ্যানে করে এইসব কলা ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানান প্রান্তে। একই চিত্রর দেখা মেলে উত্তরবঙ্গের নানান প্রান্তে। গোবিন্দগঞ্জ পার হয়ে বালুয়াহাট থেকে কোমরপুর, পলাশবাড়ি হয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের ধাপেরহাঁট, বগুরার শিবগঞ্জ, সোনাতলে সহ নানান প্রান্তে বসে এই কলার হাঁট। যে কোন ছুটির অবসরে চলে যেতে পারেন বগুরা মহাস্থানগড়, সেখানে ঘুরে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালবেলা দেখতে পারেন কলার হাঁট। সাথে করে নিয়ে আসতে পারেন কয়েক কাঁদি সুস্বাদু কলা।
পেঁপের হাটঃ উত্তরবঙ্গ মূলত আমাদের ফলভান্ডার বলা যেতে পারে। উত্তরবঙ্গে কলা, আম, লিচুর মত প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয় পেঁপে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন, মাগুরার শ্রীপুরের বারইপাড়া সহ রাজশাহী, বগুড়া প্রভৃতি এলাকাগুলোতে চোখে পড়ে সারি সারি পেঁপে গাছ, পেঁপে বাগান। বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব পেঁপে চাষ করে রাতারাতি ভাগ্য ফিরছে প্রান্তিক চাষীদের। দেশের নানান প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে এসব পেঁপে। রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর, পুঠিয়া, পবা, নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় নানান জাতের পেঁপে উৎপাদিত হয়, এর মধ্যে “শাহী পেঁপে”র কদর সারা দেশ জুড়ে। বর্তমানে রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও পাবনায় শাহী জাতের পেঁপে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। মাঠের পর মাঠ শুধু পেঁপের ক্ষেত। কেউ ক্ষেতের পেঁপে পরিচর্যা করছেন, আবার কেউ কেনাবেচা করছেন। পেঁপে দাঁড়িপাল্লায় মেপে বস্তাভর্তি করছেন কৃষক ও ব্যাপারীরা। বাগানের পাশে নসিমন বা ট্রাকে তোলা হচ্ছে পেঁপের বস্তা। মাগুরার বারইপারা, গাইবান্ধার সাঘাটায়, রাজশাহী’র দুর্গাপুর, নারিকেলবাড়িয়ায় দেখা যায় পেঁপের হাঁট। তবে বেশীরভাগ পেঁপের লেনদেন সম্পন্ন হয় বাগান থেকে। পাইকাররা বাগান থেকেই পেঁপে সংগ্রহ করে নিয়ে যায় দেশের নানান প্রান্তে। পেঁপের এই রমরমা বাজার ঘুরে দেখতে আজই চলে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গ।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ
(১) আমের হাট - https://rajshahibarta.com/
(২) লিচুর হাট - https://www.unb.com.bd/
(৩) পেয়ারা বাজার - https://thedailycampus.com/
(৪) আনারসের হাট - আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপ
(৫) কাঁঠালের হাট - https://www.dailynayadiganta.com/
(৬) লটকনের হাট - https://www.kalerkantho.com/
(৭) কলার হাট - https://www.ppbd.news/
(৮) পেঁপের হাট - সংগৃহীত
মন্তব্যসমূহ