এক বিকেলে, রাঙামাটি রাজবন বৌদ্ধ বিহারে

মারিশ্যা থেকে রাঙামাটি নৌভ্রমণ শেষে (মারিশ্যা টু রিজার্ভ বাজার ঘাট - এ লাইফ টাইম মেমোরেবল বোট জার্নি) দুপুরের ভরপুর লাঞ্চ করে সবাই বের হয়েছিলাম রাজবন বিহার ভ্রমণে। শহর থেকে তিনটা সিএনজি করে আমাদের বারোজনের দল পর্যটন মোটেলের ঝুলন্ত ব্রীজ হতে চলে এলাম রাজবন বিহারে ঢুঁ মারতে। শহরের ব্যস্ততার যান্ত্রিক জীবনের মাঝে এ যেন একটুকরো নিশ্চুপ স্থির শান্ত লোকালয়। আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হন না কেন, এখানকার পরিবেশ আপনার ভাল লাগবে। মায়াবী কাপ্তাই লেকের পাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজবৃক্ষ বেষ্টিত রাজবন বিহার যাওয়া যায় নৌপথে রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে আবার রাঙামাটি স্টেডিয়ামের পাশের সড়ক ধরে মিনিট দশেকের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এই রাজবন বিহারে। বিহারে প্রবেশের আগে সেখানে উল্লেখ করা কিছু বিধিনিষেধ লেখা সাইনবোর্ডটি পড়ে নিবেন, আর মনে রাখবেন যে কোন ধর্মীয় স্থাপনায় প্রবেশের আগে সেখানকার নিয়মাবলী ভাল করে জেনে নেয়া এবং তা যথাযথভাবে পালন করা অবশ্য কর্তব্য। আজকে আপনাদের সাতেহ শেয়ার করছি এই ছবিব্লগটি, সাথে দেখে নেই সংক্ষিপ্ত ইতিহাসটুকু। 

এটাকে স্বর্গের সপ্ত সিঁড়ি বলে থাকে অনেকে, উইকিতে পেয়েছি এটার নাম “অষ্টমার্গ”। এটার ১ম তলা হচ্ছে "মনুষ্যলোক ভূমি", ২য় তলায় "চর্তুমহারাজিক",৩য় তলা "তাবতিংস স্বর্গ", ৪র্থ তলায় "যাম স্বর্গ",৫ম তলা "তুষিত স্বর্গ",৬ষ্ঠ তলায় "নির্ম্মানরতি স্বর্গ" এবং সবচেয়ে উঁচুতে ৭ম তলা হচ্ছে "পরনির্মিত বশবর্তী স্বর্গ"। এটিকে মূলত বলা হয় স্বর্গ ঘর যা রাজবন বিহার কমপ্লেক্স এর দক্ষিণ কোণের মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সপ্ততলবিশিষ্ট ভিন্নাকৃতির দালান। বাংলাদেশের বৌদ্ধ শিল্পকলার ইতিহাসে এটি সম্পূর্ণ নবতর সংযোজন। দেশের কোন বিহারে এধরনের স্থাপনা নিমার্ণের দৃষ্টান্ত নেই। একমাত্র রাজবন বিহারেই এটি বিদ্যমান। ১৯৯৭ সালে প্রকৌশলী প্রয়াত বুদ্ধেন্দু বিকাশ চাকমা ও বনবিহারের অন্যতম জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু শ্রীমৎ সৌরজগৎ স্থবিরের পরিকল্পনায় এটির নকশা প্রস্তুত করা হয়।অতঃপর রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং শ্রদ্ধাবান পুণ্যার্থীদের শ্রদ্ধাদানে এ স্বর্গঘরটি নির্মিত হয়। এর বিশেষত্ব হল বুদ্ধধর্ম মতে মনুষ্যলোকভূমির উপরে যে ছয়টি শ্রেষ্ঠতর বাসভূমি রয়েছে এবং যা সিক্স হেভেন নামে পরিচিত তা স্থাপত্যিক উপস্থাপন। প্রত্যেকটি স্বর্গের পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। যেমন: চতুর্মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংস স্বর্গ, যাম স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ,নির্মাণরতি স্বর্গ, পরনির্মিত বশবর্তী স্বর্গ। বৌদ্ধ ইতিহাস মতে বুদ্ধ এ ছয়টি স্বর্গে তার ইদ্ধি বা ঋদ্ধিগুণে বিহার করতে পারতেন। মায়ানমারেও এ ধরনের স্থাপনা আছে বলে জানা যায়, তারা এধরনের স্থাপনা পূজাকে ছিমিটং পূজা বলে থাকেন। শ্রদ্ধেয় বনভন্তের নির্দেশনায় রাজবন বিহারে এটি স্থাপন করা হয়। রাজবন বিহারের এ যাবৎকালে নির্মিত স্থাপনার মধ্যে উচ্চতায় এটি সর্বোচ্চ। (তথ্যসুত্রঃ বুদ্ধিস্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনঃ http://www.bdfbd.org )


উপাসনা বিহারের সন্নিকটে ঠিক উত্তর পাশে দাঁড়িয়ে আছে দ্বিতলবিশিষ্ট প্রথম পাকা আবাসিক ভবন। এটি ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করা হয়। এ ভবনটির বিশেষত্ব হলো এর শীর্ষে স্থাপন করা হয়েছে পাঁচটি গম্বুজ বা চৈত্য। চৈত্যগুলো ১৯৮৮ সালে নির্মাণ করা হয়। চৈত্যগুলোতে চিনামাটি, সিমেন্ট, কংক্রিট, সিরামিক ব্যবহার করা হয়েছে। বুদ্ধধর্মের স্থাপত্যিক ইতিহাসে চৈত্য এবং স্তূপের গুরত্ব অপরিসীম। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মৌর্য সম্রাট অশোকের (২৭৩-২৩২ খ্রি. পূ.) সময় থেকে সম্রাট কনিষ্কের (৭৮-১০১ খ্রি. ) সময় পর্যন্ত বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে ধর্মস্তম্ভ, চৈত্য ও স্তূপ নিমার্ণের মাধ্যমে ধর্ম প্রচারের স্থাপত্যিক অগ্রযাত্রা সূচিত হয়। রাজবন বিহারে আবাসিক ভবনের শীর্ষে চৈত্য নির্মাণ তারই পুনর্জাগরণ বলা যায়। ভবনের নিচ তলায় ভিক্ষুদের ৪টি আবাসকক্ষের পাশাপাশি এখানে রয়েছে কম্পিউটার কক্ষ যেখানে বসে বনবিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুদের আবাসিক প্রশাসনিক বোর্ড তাদের দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকেন। এ ছাড়া রাজবন প্রেসের কম্পিটার কম্পোজের কাজ এ কক্ষেই সুসম্পন্ন হয়। ভবনটির দ্বিতীয় তলার কেন্দ্রস্থলে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে একটি অষ্ট ধাতু দিয়ে নির্মিত সুরম্য বুদ্ধমূর্তি। এটিও পদ্মাসনে উপবিষ্ট। এর উভয় পাশে বিদর্শন ভাবনারত অবস্থায় দণ্ডায়মান দুটি বুদ্ধমূর্তি স্থাপিত হয়েছে। মূর্তি দুটি থাইল্যান্ড সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। তবে মূল মূর্তিটি মায়ানমার (বার্মা) ভাস্করদের তৈরি। মূর্তিসমূহ সোনালী বর্ণের এবং খুবই মসৃণ। (তথ্যসুত্রঃ বুদ্ধিস্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনঃ http://www.bdfbd.org )


রাজবন বিহারের বিভিন্ন শাখা বিহার এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিহার থেকে আগত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আবাসিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে অতিথিশালাটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বাবু কল্পরঞ্জন চাকমার অনুদানে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এটি ২০০০-২০০১ অর্থ বছরে নির্মাণ করা হয়। এ ভবনের নকশা পরিকল্পনাসহ সম্পূর্ণ নির্মাণ কার্যক্রম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। এটি রাজবন বিহারের ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতির ইতিহাসে এক বিরাট মাইলফলক। দ্বিতলবিশিষ্ট দালানটির চালা ঢালু। ভবনটি পূর্ব পশ্চিমে লম্বা এবং উত্তরমুখী করে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মোট ১২টি আবাসকক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ধর্মীয় আলোচনার জন্য দুটি হলরুম। (তথ্যসুত্রঃ বুদ্ধিস্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনঃ http://www.bdfbd.org )


রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত। ১৯৭৭ সালে বনভান্তে “লংদু” এলাকা থেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাঙামাটি আসেন। বনভান্ত এবং তাঁর শিষ্যদের বসবাসের জন্য ভক্তকূল এই বিহারটি নির্মান করে দেন। চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের তত্ত্বাবধানে রাজবন বিহার রক্ষণাবেক্ষনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। প্রতিবছর পূর্ণিমা তিথিতে রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাজবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থল। (উইকিপিডিয়া বাংলা)








চিন্তাপ্রচারক ও ধর্ম-দার্শনিক বৌদ্ধধর্মীয় নেতা শ্রদ্ধেয় সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে। তাঁর জন্ম ১৯২০ সালের ০৮ জানুয়ারি। বুদ্ধের বাণী এবং তার দর্শনের স্থায়িত্ব,বিলুপ্তি ও বিকৃতি থেকে সুরক্ষা এবং প্রচার ও প্রসার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে বনভান্তে নিমগ্ন সাধক; একাধারে তিনি জ্ঞানসাধক, অরণ্যচারি,সমাজ-সংস্কারক ও সত্যসন্ধানি। হিংসা-শত্রুভাবাপন্নতা-লোভকে পরিত্যাগ করে, এমনকি,সর্বোপরি প্রায় সকলের আরাধ্য, জাগতিক সংসারসমুদ্র (পারিবারিক সহজ কাঠামো অর্থে) ত্যাগ করে তিনি আধ্যাত্মচিন্তায় নিবিষ্ট হয়েছেন। প্রায় ৬০ বছরের অধ্যয়ন _ বিশেষত বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থ ও বাণী পাঠ, সাধনা আর পদ্ধতি আচারের মধ্য দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন অনুকরণীয় পথরেখা। জাতি ও ধর্মগত ভেদাভেদের অতি ঊর্ধ্বে স্বীয় অবস্থানস্থল নিশ্চিত করে, সকল সংকীর্ণতার সামাজিক বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করে, আপন ভুবন নির্মাণ করতে সমর্থ হয়েছেন এই মহান ঋষি। ব্যক্তিগত সংযম প্রতিষ্ঠা আর পারিবারিক বিবাদসমূহকে দূর করে শান্তির সুবাতাস নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে তিনি বয়ে বেড়িয়েছেন মহান বারতা। (রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট হতে প্রাপ্ত)


উপাসনা বিহারঃ রাঙামাটি রাজবন বিহারের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যিক নিদর্শন হল উপাসনা বিহার। এটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়। একই বছর বিহারটি শুভ উদ্বোধন করেন বিহারাধ্যক্ষ পূজ্য বনভন্তে। এর স্থপতি হলেন নব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। চালায় টিনের কারুকার্যগুলো সুসম্পাদন করেন জনৈক বার্মিজ শিল্পী। উপাসনা বিহারটিতে আধুনিক নির্মাণ উপকরণ যেমন ইট, বালি, সিমেন্ট, রড ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বিহারটির খিলান এবং দেয়ালে মোজাইক করা হয়েছে। এ উপাসনালয়টির দিকে তাকালে প্রতিভাত হয় স্থপতি ও নির্মাণ শিল্পীগণ তাদের সকল দক্ষতা এখানে প্রয়োগ করেছেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে। দ্বিতলবিশিষ্ট এ বিহারটির দো-তলার ঠিক মধ্যখানে পূর্বমুখী করে স্থাপন করা হয়েছে একটি সুবৃহৎ স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জসহ অষ্টধাতু মিশ্রণে তৈরি সুদৃশ্য বুদ্ধমূর্তি। মূর্তিটি বেদীর উপর ভূমি স্পর্শমুদ্রায় পদ্মাসনে উপবিষ্ট এ ছাড়া মূল মূর্তির দু’পাশে স্থাপন করা হয়েছে ভিক্ষাপাত্র হাতে দণ্ডায়মান দুটি বুদ্ধমূর্তি। এর আশেপাশে রয়েছে ছোট বড় মাঝারি আকারের আরো অসংখ্য বুদ্ধমূর্তি। মূর্তি স্থাপিত কক্ষটির দু’পাশে ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য দুটি আবাস কক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া মন্দিরের প্রবেশদ্বারে দুটি হাতির প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য শিল্পীদের প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। মন্দিরটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল এর চালায় শিল্পীর নিপূণ হাতে টিনের অঙ্কিত নান্দনিক ফুলের সমাহার। পুরো চালা জুড়ে উঁচু নিচু ঢেউ খেলানো মনোরম কৃত্রিম ফুলগুলোর দীপ্তিময় উপস্থিতি যেকোন দর্শনার্থীর হৃদয়কে আকৃষ্ট করে, জুড়িয়ে দেয় দু’নয়ন। শিল্পীর কারুকার্য এখানেই শেষ নয়, তার হাতের ছোঁয়ায় মন্দিরের দু’পাশের রেলিং-এ বানানো হয়েছে জগজ্জ্যোতি বুদ্ধের আকৃতি যেগুলো বিহারটির সৌন্দর্যে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বৌদ্ধদের আচরিত ধর্মীয় রীতির মধ্যে প্রদীপ পূজার স্থান অপরিহার্য। বৌদ্ধবিহারে আগত কোন পুণ্যার্থী তথাগত বুদ্ধের উদ্দেশ্যে প্রদীপ প্রজ্বলন না করে বাড়ি ফিরবে এটি অকল্পনীয়। এ বিষয়টি স্মরণে রেখে উপাসনা দালানটির দু’ধারে দুটি পূজা মণ্ডপ রাখার মধ্যে নকশাকারের পেশাগত পরিপক্বতার ছাপ সুস্পষ্ট। (তথ্যসুত্রঃ বুদ্ধিস্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনঃ http://www.bdfbd.org )























Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ