"ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী" যেখানে হয়নি যাওয়া তখন... (বাংলার জমিদার বাড়ি - পর্ব ১৮)

ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের নাম তো অনেক আগেই শুনেছি, কিন্তু ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ীর নাম খুব বেশী দিন আগে শুনি নাই। ২০১৩ সাল থেকে জমিদার বাড়ী নিয়ে লেখালেখি শুরু করার পর আরও অনেক জমিদার বাড়ীর মতই এই জমিদার বাড়ীর কথা জানতে পারি। তো প্রথম এই জমিদার বাড়ী দেখতে উদ্যোগ নেই ২০১৪ সালে, সারাদিনের মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণে গিয়ে এই জমিদার বাড়ী দেখার প্ল্যান ছিল। ভ্রমণ বাংলাদেশের সাথে সেই ভ্রমণের কাহিনী নিয়ে লিখেছিলাম এই পোস্টঃ ঐতিহ্যের খোঁজে মুন্সীগঞ্জ

কিন্তু সেই ট্যুরে সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে যখন ভাগ্যকুল গিয়ে পৌঁছলাম, তখন সূর্য পশ্চিম আকাশে লুকিয়েছে। দলের সবার কথা চিন্তা করে সে যাত্রায় ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী দেখা হল না। কথা ছিল, ভ্রমণ বাংলাদশের সভাপতি টুটুল ভাইয়ের মোটর সাইকেলে করে পরের সপ্তাহ এসে ঘুরে যাব। কিন্তু সেই যাওয়া আর হয়ে উঠে নাই। এর পর গেলাম ২০১৫ সালে, আমি আর ভ্রমণ বন্ধু বজলু, ওর মোটর সাইকেল নিয়ে। বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা সেতু দিয়ে আমরা দোহার-নবাবগঞ্জের কলাকুপা-বান্দুরা হয়ে একে একে নানান স্পট ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছলাম যখন ভাগ্যকুল তখন সন্ধ্যে ফুরিয়ে রাত নেমেছে। কিন্তু তখনো জানা ছিল না, বান্দুরার কোকিলপেয়ারি, উকিল বাড়ী, তেলিবাড়ী এগুলোও ভাগ্যকুলের জমিদারদেরই বাড়ী। যাই হোক, প্রতিজ্ঞা ছিল, এবার আমি পিছপা হব না। খুঁজে খুঁজে চলে এলাম জমিদার বাড়ী প্রাঙ্গণে। এটা এখন র‍্যাব কার্যালয়। মেইন গেটে একটা ঘর দেখলাম, প্রবেশ চৌকি, কিন্তু অনুমতি নেয়ার জন্য কাউকে সেখানে পাওয়া গেল না। মোটর সাইকেল নিয়ে আমরা ভেতরে ঢুকলাম। কিছুটা এগুতেই দুই’তিন জন লোকের দেখা পেলাম, সবাই র‍্যাব সদস্য। তাদের কাছে আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য বললাম। তারা আমাদের উদ্দেশ্য শুনে আগ্রহ পেল, বিভিন্ন জায়গা নির্দেশ করে জানাল এখন তো আর তেমন কোন স্থাপনা নেই। আরও বেশ কিছু তথ্য দিচ্ছিল, তখন র‍্যাবের একজন বড় অফিসার আসল সেখানে। আমরা কারা এবং কেন এখানে এসেছি তা জিজ্ঞাসা করতে র‍্যাবের লোকগুলো বলল আমরা কেন এসেছি এখানে। উনি সব শুনে ক্ষেপে গেলেন, আমরা রাতের বেলা এসেছি জমিদার বাড়ী দেখতে, তাও অনুমতি ছাড়া ঢুঁকে পড়েছি... বলল সামনে যে প্রবেশ চৌকি আছে, সেখানে যেতে মোটর সাইকেল নিয়ে, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। আমি তো বুঝলাম, ঝামেলায় জড়াতে যাচ্ছি। তাদের বললাম ঠিক আছে, কিন্তু বজলুকে কানে কানে বললাম, গেটের সামনে গিয়ে সোজা বাইরে বের হয়ে মোটর সাইকেল একটানে মেইন রোডে নিয়ে যেতে। যেই কথা, সেই কাজ। ক্ষণিকের মধ্যে আমরা পগারপার, নইলে সেদিন খোদাই জানে কি যে হত!

মূলত ভাগ্যকুলের জমিদারদের অনেকগুলো বাড়ীর মধ্যে একমাত্র টিকে থাকা বাড়ীটি রয়েছে বান্দুরায়। ভাগ্যকুলের এই জমিদার বাড়ীটি বানিয়েছিলেন জমিদার যদুনাথ সাহা। দ্বিতল বাড়ীর সামনে রয়েছে আটটি বিশাল থাম, দেখতে অনেকটা মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ীর মত। ভবনটির চারিদিকেই এমন থাম বিশিষ্ট এই স্থ্যাপত্যটি গ্রীক স্থাপত্যের ঘরনায় নির্মিত। ভবনের ভেতরে নকশা-সাপ, ময়ূর, ফুল, পাখি সহ নানান নকশা রয়েছে। পুরো জমিদার বাড়ীর আঙ্গিনা জুড়ে ভবন, মাঝে উঠোন। এই জমিদার বাড়ীর দরজা এবং জানালা একই মাপের, মানে উচ্চতার। ফলে কপাট বদ্ধ অবস্থায়, কোনটি দরজা, কোনটি জানালা বুঝা দায়। একতলা থেকে দোতলায় যাওয়ার সিঁড়িটি কাঠের তৈরি। এই জমিদার বাড়ীটি বান্দুরায় অবস্থিত। জমিদার বাড়ীর সামনে রয়েছে “নবকুঠি”, এটি মূলত গদিঘর ছিল। এই জমিদার বাড়ীটি আনুমানিক ১৯২০ সালের আগে পড়ে নির্মাণ করা হয়। যদুনাথ সাহার ছিল পাঁচ ছেলেমেয়ে। এদেরকে পৃথক পৃথক বাড়ী নির্মাণ করে দেন জমিদার যদুনাথ, যেগুলো বান্দুরা’র কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ী, উকিল বাড়ী, জজ বাড়ী নামে পরিচিত রয়েছে।

কিন্তু তখনো মুল ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী খুজে পেতে মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুলে গিয়ে যে র‍্যাব কার্যালয়ে পৌঁছেছিলাম, তার ইতিহাস জানা হল না এখনো। কিন্তু তখনো কি জানি ভাগ্যকুলে এতোগুলো জমিদার ছিল, আর এতগুলো বাড়ী!!!

খোঁজ করতে জানা যায়, ভাগ্যকুলের জমিদাররা ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ ছিলেন। জমিদারদের মধ্যে হরলাল রায়, রাজা শ্রীনাথ রায় ও প্রিয়নাথ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশের তাঁবেদারি করায় তাঁরা রাজা উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁদের মতো ধনী বাঙালি পরিবার সে সময়ে কমই ছিল। জমিদারদের প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। ঢাকা, কলকাতা এবং ইংল্যান্ডে তাঁরা পড়াশোনা করেছেন। জমিদারদের কীর্তির বেশির ভাগই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়িটিই যা টিকে আছে।

ভাগ্যকুলে জমিদারদের সাতটি হিস্যার সন্ধান পাওয়া যায়। গুরুন্ন প্রসাদের দুই পুত্র মথুরামোহন রায় এবং প্রিয় মোহন রায় এর উত্তরপুরম্নষ ভাগ্যকুলের বর্তমানের ওয়াপদায় বসতি স্থাপন করেন। এই পরিবাইে জন্মেছিলেন বিখ্যাত ক্রিকেটার পংকজ রায়। পুলিন রায়ও জমিদার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন।

হরিপ্রসাদ রায় ১৮২৯ সালে ওলাউঠাতে মৃত্যুবরণ করলে গুরুন্ন প্রসাদ রায় ভ্রাতার বংশ রক্ষার্থে তার কণিষ্ঠপুত্র হরলাল রায়কে ১৮৩০ সালে পৌষ্যপুত্র প্রদান করেন। তীক্ষ্ণ বিষয়বুদ্ধি থাকায় হরলাল ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতিলাভ করেন। কলকাতায় বহু বাড়ি ক্রয় ও নির্মাণ করেন। তিনি ব্যয়শীল ও দাতা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে বসন্ত রোগে নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী মাণিক্যময়ী নিজের ৬ বছর বয়সী ছোটভাই হরেন্দ্রলালকে পৌষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন। হরেন্দ্রলাল রায় ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ হরেন্দ্রলাল পাবলিক লাইব্রেরি, ভাগ্যকুল উপস্বাপস্থ্য কেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জ হরেন্দ্রলাল কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। যদিও কলেজটি স্থানীয় দ্বন্দ্বে বিলুপ্ত হয়। সারাদেশব্যাপী অসংখ্য বিদ্যালয়, চেরিট্যাবল ডিস্পেন্সারী, মন্দির-বিগ্রহ, পানীয় জলের ট্যাংক, রেসকোর্স প্রতিষ্ঠায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। দানশীল ও রাজভক্তির জন্য সরকার ১৯১৪ সালে তাকে রায়বাহাদুর উপাধি দ্বারা ভূষিত করেন। তিনি নিজের স্টীমার ও ৩৫ হজার টাকার ওয়ারবন্ড ক্রয় করে যুদ্ধ ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় সরকারকে সহযোগিতা করেন। তিনি বৃটিশ ইন্ডিয়া এ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল ল্যান্ড হোল্ডর এ্যাসোসিয়েশন, ইস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড হোল্ডার এ্যাসোসিয়েশন, নর্থব্রুক হল, কলকাতা কন্সটিটিউশনাল ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তিনি বেঙ্গল জমিদার সমিতির সহসভাপতি ও মিডফোর্ট হাসপাতালের লাইফ গভর্ণর ছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালে ৭৮ বৎসর বয়সে স্ত্রী ও তিনপুত্রের মৃত্যুর শোকে শোকাহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

গঙ্গাপ্রসাদ রায়ের ৪র্থ ও কণিষ্ঠ পুত্র প্রেমচাঁদ রায়ের তিনপুত্র ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার। এদের মধ্যে শ্রীনাথ রায় এবং জানকী নাথ রায় ইংরেজ সরকার কর্তৃক রাজা উপাধি দ্বারা ভূষিত হন। এই দুইজন ভাগ্যকুলে প্রাসাদ নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাদের প্রাসাদও প্রায় ৩০ বছর পূর্বে কৃত্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে। রাজা শ্রীনাথ রায় ছিলেন ভাগ্যকুলের জমিদারদের মধ্যে সর্বশেষ্ঠ। তিনি ১৮৪১ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে ঢাকা ও পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ঢাকার মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড, রোডসেস ও শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। তিনি একনমিক মিউজিয়মের ও জুলজিক্যাল গার্ডেনের আজীবন গভর্ণর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। রাজা শ্রীনাথ রায়, রাজা জানকীনাথ রায় ও রায় সীতানাথ রায় যৌথভাবে পূর্ব বেঙ্গল চক্ষু চিকিৎসালয়, সীতাকুন্ডু ওয়াটার ওয়ার্কস ও অন্যান্য বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করেন। তারা কলকাতার দরিদ্রদের জন্য একটি আদর্শ বস্তি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। পূর্ববঙ্গ ও কলকাতায় তাদের বহু ব্যবসায় ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ছিল। কলকাতা ও ঢাকার একটি স্টীমার সার্ভিসও তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজভক্তি ও বহু জনহিতকর কাজের জন্য ১৮৯১ সালে রাজা উপাধীতে ভূষিত হন। তাদের ন্যায় ধনী বাঙ্গালি অতি অল্পই ছিল। সে সময় তাদের দানের পরিমান ছিল ৬ লক্ষ টাকার অধীক। সিরাজদিখানের রায় বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং শ্রীনগরের রাজা শ্রীনাথ হাসপাতাল এখনো কালের স্বাক্ষী হিসাবে রয়েছে। বর্তমানে ভারতের বিখ্যাত সাহারা গ্রুপও রাজা শ্রীনাথ রায়ের উত্তর পুরুষ।

রাজা সীতানাথ রায়ের দুই পুত্র যদুনাথ রায় এবং প্রিয়নাথ রায়। যদুনাথ রায় বর্তমানের বাড়িখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুরে (সে সময় ভাগ্যকুল নামে পরিচিত ছিল) হুবহু একই ধরণের দুটি ত্রিতল ভবন নির্মাণ করেন। বিশালাকৃতির দিঘি খনন করেন, নাট মন্দির ও দূর্গামন্দির স্থাপন করেন। ড. হুমায়ুন আজাদ এই বাড়িটিকে নিয়ে তার ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না গ্রন্থে লিখেছেন- বিলের ধারে প্যারিশ শহর। সাহিত্যিক নূর উল হোসেন তার বহু লেখায় ভাগ্যকুলের জমিদার বাড়ির জাকজমকপূর্ণ উৎসবের বর্ণনা দিয়েছেন। ভাগ্যকুলের স্টীমার ঘাটও সুপরিচিত ছিল জমিদারদের কারণেই। ইংরেজি গ্রামার বইয়ে ‘দি’ এর ব্যবহার শিখতে ‘ভাগ্যকুলের জমিদারগণ অনেক বড়’ বাক্যটির ইংরেজি অনুবাদ পড়তে হতো পাকিস্তান আমলেও। একবার মেট্রিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও বাক্যটি অনুবাদ করার জন্য ছিল। ভাগ্যকুলের জমিদারদের নিকট রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহের কুঠিবাড়ি বিক্রি করেছিলেন। কলকাতার বিখ্যাত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাও ভাগ্যকুলের জমিদারগণ। ভাগ্যকুরের জমিদারগণ শুধু শিক্ষানুরাগীই ছিলেন না, তারা প্রায় সকলেই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। ঢাকা, কলকাতা এবং ইংল্যান্ডে তার পড়াশোনা করেন। বর্তমানে ভাগ্যকুলের র‍্যাব অফিসের নিকট তিনজন ব্যারিস্টারের সমাধীসৌধ রয়েছে। এছাড়া বটু মন্দির যার স্মৃতিতে তিনিও ব্যারিস্টারী পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন।

ভাগ্যকুলের জমিদারদের সকলেরই কলকাতায় বাড়ি ছিল। তারা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ কলকাতামুখী হয়ে পড়েছিলেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র যদুনাথ রায় তার বিলের ধারের প্রাসাদে ছিলেন। তিনি ভাগ্যকুল ত্যাগ করতে চাননি। বৃদ্ধ বয়সে তার আত্মীয়-স্বজনরা জোর করে কলকাতায় নিয়ে যায়। তিনি কলকাতায় গিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। যদুনাথ রায়ের বাড়িটি দীর্ঘদিন অযত্নে অবহেলায় পড়েছিল। পরিণত হচ্ছিল ধ্বংসস্তূপে। বর্তমানে "অগ্রসর বিক্রমপুর" এই বাড়িটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে এই প্রত্যয়ে যে, তারা ফিরিয়ে আনবে আগের অবয়ব। স্থাপন করবে বিক্রমপুর যাদুঘর ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, থাকবে পর্যটন কেন্দ্র, গেস্ট হাউজ, থীমপার্ক, নৌ-যাদুঘর ইত্যাদি। আবারো বিলের ধারের এ প্যারিস শহরটি জীবন ফিরে পাবে। লোক সমাগমে ভরে উঠবে। বিক্রমপুরের ঐতিহ্য এবং ভাগ্যকুলের জমিদারদের কৃত্তি অবলোকনে দূর-দূরান্ত হতে হাজার হাজার মানুষ ভাগ্যকুলে আসবে। পূরণ হবে বিক্রমপুরবাসীর একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। 

Photo Courtesy: http://munshigonj24.com/

মন্তব্যসমূহ

Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ