কম খরচে চল যাই মানালি!


মানালি, ভারতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, হিলস্টেশন এর রাজা বলা যায়। পাহাড়ি বাতাবরণ এ ছুটির কয়েকটা দিন কাটাতে হাজারো পর্যটক ছুটে যান মানালি। আজকে চলুন কম খরচে ঘুরে আসি মানালি হতে। আগের পোস্টগুলো থেকে আপনি নিশ্চয়ই জেনেছেন ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লী যাওয়ার সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায়। অথবা কলকাতা থেকে সিমলা। সেগুলো হতে ঢাকা থেকে দিল্লী বা সিমলা পর্যন্ত আপনার কম খরচে ভ্রমণের ইতিবৃত্ত দেয়া আছে, আগে না পড়ে থাকলে এখনই ঢুঁ মেরে আসুন সেখান হতে। তারপর শুরু করুন এখান হতে।

যাতায়াতঃ

যাই হোক, মানালি যাওয়ার জন্য আমাদের দুটো সহজ রুট আছে। একটি হল ঢাকা-কলকাতা-দিল্লী-মানালি (চাইলে সিমলা হয়েও যেতে পারেন), অপরটি ঢাকা-কলকাতা-কলকা-সিমলা-মানালি। 


প্রথম রুটঃ  

ঢাকা থেকে বাই রোড/রেল/এয়ার এ আপনি ৮০০ থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী পথ এবং বাহন নিয়ে পৌঁছে যান কলকাতা (এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে আগের পোস্টগুলো দেখতে পারেন)। কলকাতা হতে দিল্লী যাওয়ার সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা “রাজধানী এক্সপ্রেস”। দিল্লী যাতায়াতের বিস্তারিত পাবেন  দিল্লী হিল্লি (নিজে নিজে ঘুরে আসুন দিল্লীর আনাচে কানাচে) পোস্টে। যাই হোক ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লী পৌঁছে গেলে এবার পালা দিল্লী থেকে মানালি যাওয়ার। 

দিল্লী থেকে মানালি যাওয়ার জন্য “হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন”- [sb]HPTDC[/sb] এর বাস রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ০৬:৩০ এবং ০৭:৩০ মিনিটে হিমাচল ভবন, চন্দ্রালোক বিল্ডিং, জনপথ, নিউ দিল্লী থেকে দুটি বাস ছেড়ে যায় মানালির উদ্দেশ্যে। ৫৭০ কিলোমিটার পথে ১৪ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সকাল বেলা ৮:৩০-৯:৩০’র দিকে পৌঁছে যাবেন মানালি। এই যাত্রার রুট এমনঃ Delhi - Ambala - Chandigarh - Bilaspur - Mandi -Kullu – Manali। অনলাইন বুকিং দিতে পারেন এখান থেকেঃ http://www.booking.hptdc.in/ । যে কোন প্রয়োজনে ফোন করতে পারেন এইনাম্বারগুলোতেঃ 0177- 2658302 , 2800073 এবং E-mail করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ hptdc@hptdc.in। এসি ভলভো বাসের ভাড়া ১,৬০০ রুপী (২০২১ এর আপডেট অনুযায়ী)।  ফেরার জন্য টিকেট করতে মানালির হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (HRTC) বাস স্ট্যান্ড হতে বাস ছেড়ে আসে বিকেল ৫:৩০ এবং ০৬:০০ টায়। ভাড়া ১,৬০০ রুপী, অনলাইনে বুকিং দিতে পারেন। অথবা ফোন করুন এই নাম্বারে 01902-252116, 9816005960। 

আপনি এই রুটে আরও বেশকিছু প্রাইভেট কোম্পানীর বাস পাবেন, এসি ভলভো এবং নন-এসি দুটোই, আছে প্রাইভেট কার অথবা ট্যাক্সি সার্ভিসও। বাস ভাড়া নন এসির ক্ষেত্রে ৭৫০-৮০০ রুপী থেকে ভাড়া শুরু আর এসি ভলভো’র ক্ষেত্রে ১,২০০ রুপী থেকে ১,৫০০ রুপী’র মধ্যে। ট্যাক্সি অথবা প্রাইভেট কার ভাড়া গাড়ীর প্রকার ভেদে ৬,০০০ রুপী থেকে শুরু। আপনার পছন্দ মত ব্রান্ড, মডেল, সিট এসবের উপর ভাড়া নির্ভর করবে।  


দ্বিতীয় রুটঃ

এই রুটে আপনি কলকাতা থেকে কলকা মেইলে কলকা হয়ে সিমলা চলে আসেন। চাইলে একদিন ঘুরে দেখুন সিমলা, তারপর এখান থেকে বাসে করে চলে আসুন মানালি। কলকাতা থেকে সিমলা যাতায়াত এবং সিমলা ভ্রমণ নিয়ে জানতে এই পোস্টে ঢুঁ মারুনঃ এবার চলুন কম খরচে ঘুরে আসি সিমলা... । সিমলা থেকে রাত ০৮:৩০ মিনিটে মানালির উদ্দেশ্যে HRTC’র নন-এসি বাস ছেড়ে যায় মানালির উদ্দেশ্যে; ভাড়া ৫3০ রুপী, চাইলে আপনি অনলাইনে বুকিং করতে পারেন এই লিংক থেকেঃ https://online.hrtchp.com/oprs-web/guest/home.do?h=1। সিমলা থেকে মানালি যাওয়ার প্রাইভেট কোম্পানির বাস খুঁজে পাবেন ৪০০-৫০০ রুপী হতে শুরু হবে ভাড়া। চাইলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট কার ভাড়া করেও আপনি সিমলা থেকে মানালি যেতে পারেন; সেক্ষেত্রে ২৮০ কিলোমিটার পথের জন্য আপনাকে ভাড়া গুনতে হবে ৪,০০০ রুপী হতে শুরু করে গাড়ীর প্রকারভেদে ৮,০০০-১০,০০০ রুপী পর্যন্ত। ফিরতি পথে একই সময়ে মানালি হতে সিমলা’র উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে আসে রাত ০৮:৩০ মিনিটে; ভাড়া সেই ৫৩০ রুপী।    


থাকাঃ

মানালি’তে থাকার জন্য অনেক হোটেল পাবেন, আপনার বাজেটের মধ্যে মল এলাকার আশেপাশে প্রচুর হোটেল পাবেন। আর একটু ডিলাক্স বা লাক্সারি হোটেল পাবেন মল এলাকা থেকে একটু দূরে। অনলাইনে MakemyTrip, TripAdvisor, Booking.com, Agoda ইত্যাদি সাইটে ঢুঁ মেরে আপনার পছন্দের হোটেল সহজেই খুঁজে পেতে পারেন। চাইলে অনলাইনে বুকিং করে ফেলতে পারেন, অথবা স্পটে পৌঁছে দরদাম করে আপনার পছন্দ মাফিক হোটেলে চেকইন করতে পারেন। পুরোটাই আপনার ইচ্ছে।


খাওয়াঃ

মানালিতে খাওয়া নিয়ে একটু বিপাকে পরবেন, বেশীরভাগ ভেজিটেরিয়ান রেস্টুরেন্ট। মানালি মল এলাকায় একটি বাঙ্গালী, একটি পাঞ্জাবী এবং একটি মুসলিম রেস্টুরেন্ট খুঁজে পাবেন। আপনার স্বাদের ভিন্নতার জন্য এগুলোতে চেখে দেখতে পারেন। প্রতিবেলা খাবারে আপনার খরচ হবে ১৫০-২৫০ রুপী (একটু বুঝে চললে); ভাল মানের খাবারের জন্য বাজেট রাখুন ৩০০-৪০০ রুপী। আর একেবারে সাশ্রয়ীদের জন্য কোন সাজেশন নেই, চাইলে ৫০ রুপীর কম খরচেও পেটপুজো করে নিতে পারবেন আপনি।


সাইটসিয়িংঃ

এখন বাকী রইল কি কি দেখবেনঃ  

হাদিম্বা দেবী মন্দিরঃ মানালি মল এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের একটু বেশী দূরত্বে এই মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ১৫৫৩ সালে নির্মিত এই মন্দির সব সময়েই দর্শনার্থীতে পূর্ণ থাকে। 

মানু মন্দিরঃ এটা ২ কিলোমিটার মল এলাকা থেকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান।  

ভাসিসথঃ এটা একটি উষ্ণ প্রস্রবন, তিন কিলোমিটার দূরে মল এলাকা থেকে।  

তিব্বতীয় মনস্ট্রিঃ অধুনা নির্মিত তিনটা মনস্ট্রি রয়েছে মানালিতে, চাইলে ঘুরে দেখতে পারনে।  

সোলাং ভ্যালীঃ বরফ, স্কিয়িং আর ক্যাবল কার নিয়ে ছবির মতন সাজানো স্পট সোলাং ভ্যালী মানালি মল এলাকা হতে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শীতের সময়ে হাজারো পর্যটক ছুটে আসে এই সোলাং ভ্যালীতে স্কিয়িং এর মজা নিতে। 

কুলু-মানিকারানঃ মানালি এসে কুলুভ্যালী হয়ে মানিকারান উষ্ণপ্রস্রবণ না দেখে গেলে আপনার যাত্রা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। তাই অতি অবশ্যই কুলু হয়ে মানিকারান যেতে ভুলবেন না।  

রোহটাং পাসঃ প্রায় সারা বছর বরফ দেখতে পাওয়া যায় বলে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যে ১৩,৫০০ ফিট উচ্চতার রোহটাং পাস। ভয়ঙ্কর কিন্তু অসাধারণ অপার্থিব এক রাস্তা দিয়ে যেতে হবে আপনাকে রোহটাং পাস, সাথে অতি অবশ্যই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র’র সুরক্ষা।     

এই স্পটগুলো ঘুরে দেখার জন্য হিমাচল ট্যুরিজম এর নানান প্যাকেজ রয়েছে। রয়েছে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর নানান প্যাকেজ। মানালি মল এলাকায় গেলে দেখবেন অনেকগুলো কোম্পানি আপনার জন্য অফার নিয়ে বসে আছে। নিজের বাজেটের মধ্যে পছন্দ সই একটা প্যাকেজ নিয়ে ঘুরে আসুন উপরের গন্তব্যগুলো হতে। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য রয়েছে HPTDC’র বাস সার্ভিস।  এই প্যাকেজ সকাল ০৯:৩০ এ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ০৬ঃ০০টায় শেষ হয় যেখানে আপনি ভ্রমণ করতে পারবেনঃ Manali-Kothi-Gulaba-Rahala+Water+Fall-Marhi-Rohtang+Pass-Koskar-North+Portal+Atal+Tunnel-South+Porta ; ভাড়া ৬০০ রুপী। এছাড়া অন্যান্য সংস্থারও বাস রয়েছে যার ভাড়া নিম্নরূপঃ

Manali-Kothi-Rahla Fall- Rohtangpass & back   যার ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০-৪৫০ রুপীর মধ্যে।

Manali- Nagar- Solang & back   যার ভাড়া জনপ্রতি ২৮০-৩৫০ রুপীর মধ্যে।   

Manali-Kullu-Manikaran & back   যার ভাড়া জনপ্রতি ৩৮০-৫০০ রুপীর মধ্যে।  

Manali- Kullu- Bajaura & back   যার ভাড়া জনপ্রতি ২০০-৩০০ রুপীর মধ্যে।


একটি খসড়া প্ল্যান ও বাজেট (অবশ্যই কম খরচে)

দিন ০০ঃ ঢাকা থেকে রাতের ট্রেনে যশোর অথবা বাসে সরাসরি বেনাপোল। সেখান থেকে দুই দেশের ইমিগ্রেশন শেষে শেয়ার অটো করে বনগাঁও হয়ে ট্রেনে কলকাতা। সেখান হতে রাতের ট্রেনে রওনা হয়ে যান দিল্লী’র উদ্দেশ্যে। দিল্লীর ট্রেনসূচী দেখে নিতে পারেন এই পোস্ট থেকেঃ দিল্লী-হিল্লি (নিজে নিজে ঘুরে আসুন অল্প খরচে সমগ্র দিল্লী)

দিন ০১ঃ ট্রেনে সারাদিন এবং রাত্রি যাপন।

দিন ০২ঃ সকালবেলা দিল্লী পৌঁছে সারাদিন অবসর সময়, ঘুরে দেখতে পারেন কুতুব মিনার, হুমায়ুন টম্ব, লালকেল্লা, চাঁদনীচক ইত্যাদি। সন্ধ্যের বাসে রওনা হয়ে যান মানালির উদ্দেশ্যে। সারা রাত বাস জার্নি।

দিন ০৩ঃ সকাল বেলা মানালি পৌঁছে যাবেন দশটা/এগারোটা নাগাদ। মল এলাকায় চলে গিয়ে একটি বাজেট হোটেল দেখে চেক ইন করুন। ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ সেরে নিন। এদিন দেখুন হাদিম্বা দেবী মন্দির, মানু মন্দির, ভাসিসথ, তিব্বতীয় মনস্ট্রি, বনবিহার ইত্যাদি। রাত্রি যাপন মানালি।

দিন ০৪ঃ এদিন সকালের নাস্তা সেরে চলে যান সোলাং ভ্যালী, সাথে যদি রাস্তা খোলা থাকে (বরফের কারনে বছরের অর্ধেকের বেশী সময় রাস্তা বন্ধ থাকে) চলে যান রোহটাং পাস। রাত্রি যাপন মানালি।

দিন ০৫ঃ এদিন সকালের নাস্তা সেরে ঘুরে আসুন কুলু-মানিকারান। বিকেলের মধ্যে মানালি ফেরত এসে অথবা কুলু থেকে ধরুন দিল্লীর বাস। সারারাত বাস জার্নি।

দিন ০৬ঃ সকাল বেলা দিল্লী পৌঁছে চাইলে দিল্লী ঘুরে দেখার জন্য দিনের বেলা হাতে রাখতে পারেন। এদিন দেখতে পারেন লোটাস টেম্পল, জন্তর মন্তর, আকসার ধাম, পুরানা কিল্লা, লোদী গার্ডেন। ইত্যাদী। দিল্লী হিল্লী পোস্টে এসবের প্ল্যানিং দেয়া আছে। রাতের ট্রেন ধরুন কলকাতার উদ্দেশ্যে।

দিন ০৭ঃ সারাদিন ট্রেন জার্নি।

দিন ০৮ঃ সকাল বেলা কলকাতা পৌঁছে বেনাপোলগামী বাস ধরুন, শেষ বাস দুপুর একটা পর্যন্ত পাবেন। সেটাও মিস হলে, ট্যাক্সি করে চলে যেতে পারেন। অথবা ট্রেনে বনগাঁ হয়ে ছয়টার আগে বেনাপোল চলে আসুন। এরপর বর্ডার পার হয়ে রাতের বাস ধরুন ঢাকার উদ্দেশ্যে। আর দুপুরের মধ্যে বেনাপোল পৌঁছে গেলে তো কথাই নেই, মধ্য রাতের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যাবেন আশা করা যায়।


খরচের হিসেবঃ

বাস ভাড়া (ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা) ২,২০০ টাকা

ট্রেন ভাড়া (কলকাতা- দিল্লী-কলকাতা) ২,৮০০ টাকা

বাস ভাড়া (দিল্লী-মানালি-দিল্লী) ৩,০০০ টাকা

হোটেল ভাড়া (দুই রাত) ২,০০০ টাকা

খাবার (০৮দিন তিন বেলা) ৪,০০০ টাকা

সাইট সিয়িং এবং অন্যান্য ২,০০০ টাকা

সর্বমোটঃ ১৬,০০০ টাকা।

Happy Traveling 

মন্তব্যসমূহ

Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ