আমার পছন্দের নিজের এক কুড়ি ক্লিক!

#
আমি পছন্দ করি ঘুরে বেড়াতে, গান শুনতে, গল্প বই পড়তে, লেখালেখি করতে। কিন্তু ছবি তোলা আমার শখ, নেশা কোন কিছুতেই পড়ে না। আমি বেড়াতে গেলে ছবি তুলি কিছু স্মৃতি ফ্রেমে বন্দী করতে, আর এ থেকেই আমার ছবি তোলা। কখনো ছোট ভাইয়ের, কখনো বন্ধুা-বান্ধবের ক্যামেরা দিয়ে; কখনো কোনটাই না পেলে নিজের মোবাইলের ছোট্ট লেন্স দিয়ে চলে এই স্মৃতি ফ্রেমবন্দী করার কাজ। আজকের ফটোব্লগ মূলত আমার নিজের তোলা আমার পছন্দের এক কুড়ি ছবি নিয়ে সাজানো। আসুন দেখি আমার পছন্দের এককুড়ি ছবি। 

এই ছবিটি সেন্টমার্টিনের জেটি সংলগ্ন সৈকত থেকে সূর্যোদয়ের সময় তোলা। ছবিটতে কেমন যেন অদ্ভুত এক মায়া লেগে আছে মনে হয়।


এই ছবিটি আমার বন্ধু আর বন্ধু পত্নী'র, ছেঁড়দ্বীপে আমি তাদের রিকোয়স্টে এই সেটপিস ছবিটি তুলে দেই, যা তোলার পর আমি নিজেই খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অদ্ভুত সুন্দর রোমান্টিক একটি ছবি।


ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে করে যাওয়ার সময় কুমিল্লা পেরুনোর আগে কোন এক ষ্টেশন সংলগ্ন কালভার্ট এর সামনে চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে এই ছবিটি তোলা, আমার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে। ছবিটি তোলার পর থেকে আমি এই ছবির প্রেমে পড়ে গেছি।


এই ছবিটি টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জাহাজঘাট হতে তোলা। ছবিটি দেখলে মনে হয় জলরঙ্গে আঁকা। যতবার দেখি ততবারই খুব আশ্চর্য হই।


কেলেঙ্গা বনে এই ভদ্রলোকের দেখা পাই। অনেকে মাকড়শা'কে কুৎসিত প্রাণী বলে ঘেন্না করেন, আমিও করতাম। কিন্তু উনার এই রূপ দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ।


খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার সময় ঝড়ো অপরাহ্ণে মেঘলা আকাশের এই মাতাল রূপ আমার মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা।


এই ছবির ছেলেটি যে ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে তার আকৃতি বাংলাদেশের মানচিত্রের মত। ভোলার কালির চরে ছবিটি তোলা।


সুনামগঞ্জের টেকেরহাট এর সীমান্ত সংলগ্ন মেঘালয় পাহাড়ে মেঘের খেলা।


লালাখালে তোলা এই ছবির শিশু দুটির মুখ এমন মায়া ধরিয়েছিল যে ছবিটি মনে গেথে গেছে।



ছবির পুকুরটি কক্সবাজারের পর্যটন মোটেল 'শৈবাল' এ। সন্ধ্যালগ্নে আকাশের রঙ আর তার প্রতিচ্ছবি আমায় নিদারুণ মুগ্ধ করেছিল।


দাউদকান্দি থেকে ফিরছিলাম ঢাকা, মেঘনা ব্রিজ পেরুনোর সময় চলন্ত বাস হতে আমার মোবাইলে তোলা সূর্যাস্তের এই ছবিটি। 


সূর্যের সোনালী আভা! শুধু গল্প-কবিতাতেই শুনেছি। টাঙ্গুয়ার হাওড়ে দেখেছিলাম নিজ চোখে, স্বর্ণালী সেই রূপ। 


সকাল বেলা রঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলাম বোটের অপেক্ষায়। ঘাড় ঘুড়িয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি......


বার্ড - কুমিল্লা'র ভেতরে শীতের সকালে তোলা এই শুন্য পিচঢালা পথে বারেবার হাঁটতে চাই।


আমার প্রিয়তমাকে নিয়ে হারিয়ে যাবো যেই নদীর তীরে, সেই লোভাছড়া নদী


চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী হতে গেলাম সূর্যাস্ত দেখতে। কিসের কি? বিকেল থেকে শুরু হল বৃষ্টি, পেলাম অন্য এক রূপ। ভাটিয়ারী লেকে বুঝলাম 'ব্ষণমুখর সন্ধ্যা' কাকে বলে। 


ভাওয়াল গড় বনে আমার কলেজ পড়ুয়া কাজিনের মডেলিংয়ে আমার কনসেপ্টে এই সবুজ ফ্রেমের ছবিটি আমার তোলা খুব সেরা ছবি, আমার মতে। 


লক্ষ্মীপুরের চর ভৈরবী হতে ভোর বেলা হায়দারগঞ্জ যাবার পথে গ্রাম্য মেঠো পথ। 


খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড পাড়ার সমতল হতে দূরের পাহাড়ের ভাজে সূর্যাস্তে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া। 


Translate

বোকা পর্যটকের কথা

মানুষ যেমন হঠাৎ করেই কারো প্রেমে পড়ে, ঠিক তেমনই করে আমিও প্রেমে পড়েছি ভ্রমণের। আজব এক নেশায় নেশাগ্রস্থ, কবে থেকে জানি না। তবে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে লড়াই করে টিকে থাকার পর ভ্রমণে মনঃসংযোগ করতে উদ্যত হই। সেই থেকে যখনই সময়-সুযোগ হয় বেড়িয়ে পড়ি ঘর হতে, ভ্রমণের তরে। মজার ব্যাপার হল, আমি সাইক্লিস্ট নই, সাঁতার কাটতে পারি না, না পারি ট্র্যাকিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং। কোন ধরণের এডভেঞ্চারধর্মী কোন গুণই আমার নেই, শুধু আছে ভ্রমণের শখ আর অদম্য ইচ্ছাটুকু। আর সেই ইচ্ছা থেকেই সময় সময় আমার ঘুরে বেড়ানো আর সেই গল্পগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা এই ডায়েরীতে। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লেখা ছিল; সেগুলো সব একত্রে সংরক্ষণ করে রাখার নিমিত্তেই এই ব্লগ। যদি আপনাদের কারো এই লেখাগুলো কোন কাজে লাগে তবে আমার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে।

পোস্ট সংরক্ষণাগার

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ