সাধারনত রাঙ্গামাটি বেড়াতে গেলে আমরা ঝুলন্ত ব্রিজ হতে অথবা তবলছড়ি ঘাট হতে বোট ভাড়া করে কাপ্তাই লেক, শুভলং ঝর্না, বিজিবি ক্যাম্প, জুম রেস্তোরা, চা-বাগান এগুলো ঘুরে দেখি। কিন্তু কাপ্তাইয়ের আসল রূপ দেখতে হলে আপনি স্থলপথে সরাসরি চলে যান কাপ্তাই, নেমে পড়ুন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’র গেটে। পারমিশন থাকলে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘুরে দেখতে পারেন। পারমিশন না থাকলেও ক্ষতি নেই, এখান থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে নৌকো ঘাটে চলে যান। একশত টাকা ঘণ্টা চুক্তিতে ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে বেড়ান কাপ্তাই লেকের নীল জলে, সাথে থাকবে একফালি নীলাকাশ আর চিরহরিৎ বৃক্ষরাজির চোখ ধাঁধানো সবুজ।
এখান থেকে বেড়ানো শেষে একে একে দেখার মত অনেকগুলো স্পট আছে। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, আর্মি পিকনিক স্পট, নেভি লেকভিউ পিকনিক স্পট, জুম রেস্তোরা, শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক ইত্যাদি। সারাদিন ঘুরেও শেষ করতে পারবেন না। আর লাঞ্চ জুম রেস্তোরায় না সেরে ১০০ গজ সামনে “ফ্লোটিং প্যারাডাইস” নামক রেস্তোরায় সারুন, অসাম লেকভিউ দেখতে দেখতে খাবার খাওয়া... অসাধারণ অনুভূতি।
যাই হোক আজ বলব নেভি লেকভিউ পিকনিক স্পটের গল্প। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার জন্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রর গেট হতে সিএনজি নিয়ে যাওয়ার পথে সিএনজি চালক বলল এই স্পটের কথা। বিকেলে গেলাম সেখানে, গিয়েতো চক্ষু চড়কগাছ। মাথা নষ্ট সৌন্দর্য, না দেখলে বুঝতে পারবেন না। ১০ টাকা করে টিকেট কেটে পুরোটা ঘুরে বেড়াতে ঘণ্টা দেড়েক লাগবে না। কিন্তু সমস্যা আছে... সমস্যা হল এই সৌন্দর্য দেড় ঘণ্টায় দেখার না, কমপক্ষে দেড়দিন বসে থাকা উচিত এমন প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্যের সম্মুখে। কি বিশ্বাস হচ্ছে নাতো? দেখুন উপরের ফটো স্লাইডারের ছবিগুলো...
এতো দেখি, তবু কেন চোখের তৃষ্ণা মেটে না.... 😟 অনেকতো দেখা হল, এবার ফেরা উচিত। শেষে গাড়ী পাওয়া যাবে না। ও হ্যাঁ, ভুলে গিয়েছিলাম; আপনিতো গাড়ী নিয়ে এসেছেন। আপনারা থাকুন আরও কিছুক্ষণ, গোধূলি লগ্ন পার করে না হয় ফিরবেন। সাথে করে আমার জন্য কিছু ছবি তুলে নিয়ে আসবেন। আমি গরীব মানুষ যে.... আমায় লোকাল বাস ধরতে হবে। শেষ বাস ছাড়লো বলে......... 😜 গেলাম তবে ফিরতি পথে...